Home Bangla Recent অ্যাকর্ডের নতুন চুক্তি মানবে না বিজিএমইএ

অ্যাকর্ডের নতুন চুক্তি মানবে না বিজিএমইএ

দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানা সংস্কারে ব্র্যান্ড ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠনের করা চুক্তি মানবে না পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন তৈরি পোশাক উৎপাদন এবং রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ। গতকাল শনিবার জরুরি এক বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এ বিষয়ে সাধারণ সদস্যদের মতামত নিতে শিগগিরই জরুরি সাধারণ সভা ডাকা হবে বলে জানান বৈঠকে উপস্থিত নেতারা।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, অ্যাকর্ড বাংলাদেশে তাদের দ্বিতীয় মেয়াদে থাকার যে চুক্তি করেছে তাতে একমত নয় এ খাতের সংশ্লিষ্টরা। তারা বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারকে জানাবে। এ ছাড়া বৈঠকে সাধারণ সদস্যদের মতামত জানতে চলতি মাসেই জরুরি সাধারণ সভা ডাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গতকাল শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংগঠনের সাবেক কয়েকজন সভাপতিও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়।

গত মাসে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে ইন্ডাস্ট্রিঅল গ্লোবাল ইউনিয়ন এবং ইউনি গ্লোবাল ইউনিয়নের সঙ্গে নতুন একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে পোশাক ক্রেতা জোট অ্যাকর্ড। বাংলাদেশকে না জানিয়ে পোশাকের ব্র্যান্ড ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে চুক্তি করে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য এই চুক্তি করে তারা। ২০১৮ সালের মে মাসে চলতি মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আরো তিন বছর ইউরোপের ক্রেতা চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে বাংলাদেশের পোশাক খাতের সংস্কারে একযোগে কাজ করতে সম্মত হয় এ তিনটি সংগঠন। তবে এ চুক্তি করার আগে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়নি।

বৈঠক সূত্রে আরো জানা যায়, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের সংস্কারের কাজ করতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্রেতাদের জোট এবং আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন। অথচ এ খাতের উদ্যোক্তা, সরকার এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও এই ব্যাপারে কিছুই জানে না। এমন একক সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিজিএমইএ নেতারা বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিষয়টিকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারকে জানানোর পরামর্শ দেন তাঁরা।

জানতে চাইলে বিজিএমইএ সহসভাপতি মোহাম্মদ নাসির বলেন, পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের না জানিয়ে অ্যাকর্ডের একক সিদ্ধান্ত কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিষয়টি এ খাতের উদ্যোক্তারা ভালোভাবে নেননি। এ ছাড়া এ মাসের মধ্যে জরুরি সাধারণ সভা করে সাধারণ সদস্যদের মতামত নেওয়া হবে। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে তা সরকারকে জানানো হবে বলে ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়।

গত ২৭ জুন নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে ইন্ডাস্ট্রিঅল গ্লোবাল ইউনিয়ন প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর দুই দিন পর অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ওইসিডি) কার্যালয়ে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

জানতে চাইলে এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের সংস্কার নিয়ে আরো কী কী উদ্যোগ নেওয়া যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার একমাত্র অধিকার বাংলাদেশ সরকার এবং এ খাতের সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের। অথচ বাংলাদেশ সরকার এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থাকে না জানিয়ে এককভাবে বিদেশি ব্র্যান্ড এবং শ্রমিক সংগঠন চুক্তি সই করেছে। এটা কোনোভাবেই সঠিক সিদ্ধান্ত নয় বলে তিনি মনে করেন। বৈঠকে এসব বিষয়ে বর্তমান ও সাবেক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here