Home Bangla Recent পোশাক খাতের স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রে আগ্রহী উদ্যোক্তারা

পোশাক খাতের স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রে আগ্রহী উদ্যোক্তারা

machinery

রাজধানীতে শুরু হয়েছে চার দিনের বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল গার্মেন্ট অ্যান্ড টেক্সটাইল মেশিনারি এক্সপো (বিগটেক্স-২০১৭)। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র বসুন্ধরাতে মেলার উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এতে পোশাক খাতের বিভিন্ন স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রে প্রদর্শন করা হচ্ছে। প্রদর্শনীর প্রথম দিন সংশ্লিষ্ট খাতের উদ্যোক্তা ও দর্শনার্থীদের স্বয়ংক্রিয় নানা যন্ত্রপাতির উদ্ভাবনী কার্যক্রমের প্রতি আগ্রহ দেখা গেছে। মেলায় বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের যন্ত্রপাতি, সুতা, কাপড়, রঙ, কাঁচামাল ও রাসায়নিকের বিভিন্ন ব্যবহার প্রদর্শন করা হচ্ছে।

প্রত্যেক স্টলে কর্মীরা মেশিন চালাচ্ছেন। দর্শনার্থীদের তারা দেখিয়ে দিচ্ছেন কীভাবে কাজ করে এসব মেশিন। মেশিনারিজ সাপ্লাইয়ার, আমদানিকারকরা উদ্যোক্তাদের হাতে-কলমে দেখান। পোশাকে কীভাবে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন প্রিন্ট করা হয় তা এতে দেখানো হয়। দর্শনার্থীরা দেখেন, যন্ত্রের সাহায্যে চোখের নিমিষেই কীভাবে তৈরি পোশাক প্যাকেট হচ্ছে। এ ছাড়া প্রদর্শন করা হয় বিশ্বের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত ফিনিশিং আয়রন। আরও রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের সুইং, নিটিং, এমব্রয়ডারি, লন্ড্রি, ফিনিশিং, ডায়িং, ক্যাড/ক্যাম, প্রিন্টিং কাটিং, স্প্রেডিং মেশিনারিজ। এতে বিভিন্ন কোম্পানি তুলে ধরে প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম সুতা এবং ওভেন ও নিট শিল্পের জন্য উভয়ের মিশ্রণের সর্বাধুনিক সংগ্রহ। মেলায় ১২টি দেশ থেকে প্রায় ১৮০টি স্টল তাদের পণ্য ও প্রযুক্তি নিয়ে অংশগ্রহণ করছে। প্রদর্শনীতে দেশি ও বিদেশি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, ডিলার এবং সরবরাহকারীরা তাদের পণ্যের নতুনত্ব ও এই খাতের সর্বশেষ অগ্রগতি তুলে ধরছে। একই সময়ে একই ছাদের নিচে অনুষ্ঠিত হচ্ছে পোশাক ও বস্ত্র খাতের সঙ্গে জড়িত আরও দুটি সময় উপযোগী প্রদর্শনী। বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ফেব্রিক অ্যান্ড ইয়ার্ন এক্সপো ২০১৭ এবং বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ডাইজ্, পিগমেন্টস্ অ্যান্ড কেমিকেল এক্সপো ২০১৭। তিনটি প্রদর্শনীই প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত চলবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে রফতাানি খাতে তৈরি পোশাক শিল্পের অবদান তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে পোশাক রফতানিকারক দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, আমাদের আগে রয়েছে কেবল চীন। ২০২০ নাগাদ এ খাতে রফতানি ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য আমাদের রয়েছে, তখন চীনকেও ছাড়িয়ে যাব আমরা।

পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের সংশয় অনেকটাই দূর হয়ে গেছে, এখন কারখানাগুলো অনেক নিরাপদ। আমি বিদেশিদের বলতে চাই- বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য খুব ভালো জায়গা।

পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, মোট পোশাক রফতানির ৬৩ শতাংশই ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে ও ১৮ শতাংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করে থাকি। চলতি বছর বাংলাদেশে ডেনিম জিনস রফতানিতে বিশ্বে প্রথম। আগে যেখানে আমরা শুধু শার্ট, প্যান্ট ও ট্রাউজার তৈরি করতাম সেখান থেকে সরে এসে এখন আমরা সুইমিং স্যুট, স্পোর্টস জার্সি, স্যুটসহ আউটডোর পোশাক তৈরি করছি, ফলে বাজারও বাড়ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চায়না টেক্সটাইল মেশিনারি অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস সেক্রেটারি জেনারেল ঝাও জিয়াওগাং, বাংলাদেশ গার্মেন্ট অ্যাকসেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফেকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুল কাদের খান, বাংলাদেশ আইডেনটিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুহাম্মদ আইয়ুব, ওয়েল গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ নুরুল ইসলাম ও বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মনসুর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here