Home Bangla Recent পোশাক শিল্পে বিদেশী ষড়যন্ত্র রুখতে সোচ্চার সব পক্ষই

পোশাক শিল্পে বিদেশী ষড়যন্ত্র রুখতে সোচ্চার সব পক্ষই

অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্সের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ; শিল্প রক্ষায় আন্দোলনে নেমেছেন শ্রমিকেরাও; রফতানি প্রবৃদ্ধি ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন

২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে ঘটে যায় দুনিয়া কাঁপানো রানা প্লাজা ধসের ঘটনা। ওই ঘটনার প্রেক্ষাপটে সাসটেইন্যাবল কমপ্যাক্টের মাধ্যমে গঠিত হয় অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ (অ্যাকর্ড) এবং অ্যালায়েন্স ফর ওয়ার্কার সেফটি ইন বাংলাদেশ (অ্যালায়েন্স)। মূলত কারখানার কর্মপরিবেশ নিশ্চত করার লক্ষ্যে গঠিত হলেও প্রথম দিকে এই দুই জোটকে সাদরে গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে শিল্পের জন্য কাল হয়ে দেখা দেয় অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স। তাদের ন্যায়-অন্যায় আবদার রক্ষা করতে গিয়ে সর্বস্বাস্ত হয়ে যান অনেক উদ্যোক্তা। চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়ে বন্ধ করে দিতে হয় এক হাজার ২০০ কারখানা। কিন্তু টিকে থাকার শেষ চেষ্টা করতে গিয়ে অনেক কিছু নীরবে সহ্য করেন তারা। সুযোগ বুঝে বেপরোয়া হয়ে ওঠে সংগঠন দু’টি। কোনোরূপ আলাপ-আলোচনা ছাড়াই নতুন করে পাঁচ বছর মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা দেয় অ্যাকর্ড। বাড়াবাড়ি এমনপর্যায়ে গেছে, যে শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষার জন্য অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স কাজ করছে তারাই এখন মালিকদের পক্ষ নিয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে শক্ত অবস্থান নিয়েছে সরকারও। সরকারকে সাথে নিয়ে মালিক-শ্রমিকেরা এক হয়ে জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স এ দেশ থেকে চলে যেতে বাধ্য হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আন্দোলনের সূত্রপাত যেখান থেকে

অ্যাকর্ড মূলত ইউরোপের ক্রেতাদের জোট। প্রায় ২০০ ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান এবং বৈশ্বিক ট্রেড ইউনিয়ন অ্যাকর্ডের সাথে চুক্তিবদ্ধ। চুক্তিবদ্ধ ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানের পোশাক তৈরির কাজ করে এমন এক হাজার ৬০০ কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নয়নের দায়িত্ব পালন করে অ্যাকর্ড। অন্য দিকে উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের জোটের নাম অ্যালায়েন্স ফর ওয়ার্কার সেফটি ইন বাংলাদেশ (অ্যালায়েন্স)। বিশ্বখ্যাত পোশাক ব্র্যান্ড ওয়ালমার্ট ও গ্যাপসহ ১৭টি প্রতিষ্ঠান জোটবদ্ধ হয়েছে অ্যালায়েন্সের সাথে। অ্যালায়েন্সের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করছেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি। এই দুই জোটের সঙ্গে করা সরকারের পাঁচ বছরের চুক্তির মেয়াদ ২০১৮ সালের জুলাইয়ে শেষ হবে। কিন্তু গত মাসে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অ্যাকর্ড জানায়, ২০২১ সালের মে মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকবে তারা। দীর্ঘ দিনের ক্ষোভ থেকে সৃষ্ট আন্দোলন জোরদার হয় মূলত অ্যাকর্ডের এই ঘোষণা থেকেই। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে অ্যালায়েন্স অবশ্য ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে যে, বাংলাদেশে তারা নির্দিষ্ট মেয়াদের বেশি অবস্থান করবে না।

বাণিজ্যমন্ত্রীর তীব্র প্রতিক্রিয়া

সরকার বা পোশাক শিল্পমালিকদের কোনো সংগঠনের সাথে কোনোরূপ আলোচনা ছাড়াই অ্যাকর্ড কর্তৃক বাংলাদেশে অবস্থানের মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণায় বিচলিত হয়ে ওঠেন এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট হাজার হাজার উদ্যোক্তা। বিজিএমইএ নেতারা দৌড়ে যান একাধিক মন্ত্রীর কাছে। ডাকেন পরিচালনা পরিষদের জরুরি বৈঠক। কয়েক হাজার উদ্যোক্তার উপস্থিতিতে বসানো হয় বিশেষ সাধারণ সভাও। হতাশ উদ্যোক্তাদের পেরেশানি দেখে তৎপর হন আগে থেকেই অ্যাকর্ডের ওপর ক্ষুব্ধ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদও। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকের কূটনীতিকদের সচিবালয়ে ডেকে এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ উদ্যোগের তীব্র প্রতিবাদ জানান। কূটনীতিকদের সাথে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সিদ্ধান্তটি নেয়ার আগে অ্যাকর্ডের উচিত ছিল বাংলাদেশ সরকারসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা। বৈঠকে আমরা বলেছি, সিদ্ধান্তটি প্রত্যাশিত নয়। অ্যাকর্ড প্রস্তাব দিতে পারে, সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারে না। তিনি বলেন, বৈঠকে যারা এসেছেন, তাদের কাছেও সিদ্ধান্তের বিষয়টি আকস্মিক লেগেছে। তিনি বলেন, যখনই কোনো সমস্যার সমাধান করি, তারা তখন নতুন সমস্যা নিয়ে আসেন। বিশ্বের কোথাও অ্যাকর্ড নেই, শুধু বাংলাদেশে। আগের ঘোষণা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্সকে এ দেশ থেকে বিদায় নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বিস্ফোরণোন্মুখ জরুরি সাধারণ সভা

অ্যাকর্ডের মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণায় সদস্যদের তীব্র চাপের মুখে গত সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে বসে বিজিএমইএর জরুরি সাধারণ সভা। সাবেক-বর্তমান নেতা এবং সাধারণ উদ্যোক্তাদের ক্ষোভ-বেদনায় বিস্ফোরণোন্মুখ হয়ে ওঠে কয়েক হাজার উদ্যোক্তার এ জমায়েত। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পোশাক কারখানায় কাজের পরিবেশ উন্নয়নে ইউরোপ ও আমেরিকার ক্রেতাদের দুই জোট অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সকে পোশাক শিল্পের সঙ্কটের প্রধান কারণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। অভিযোগ করা হয়, বিশ্ববাজারে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশকে রফতানি প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে দিতে দেশী-বিদেশী মহল এই খাতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করছে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম অনুষ্ঠানে বলেন, অতীতে পোশাক কারখানা মালিকেরা বিভিন্ন সঙ্কট মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। এবারও অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্সসহ অন্যান্য বিষয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ ঠিক করার নামে অ্যাকর্ড অনেক বাড়াবাড়ি করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রয়োজনে এ প্রতিষ্ঠানকে বিতাড়ন করতে হবে।

অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে প্রতিবাদের দাবানলে জ্বলতে থাকা সাধারণ সদস্যদের সান্ত্বনা দিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স গঠন করা হয়েছিল কারখানা ও ব্যবসার পরিস্থিতি উন্নত করতে। কারখানা নিরাপত্তায় আমরা অনেক উন্নতি করার পরেও আমাদের দেশের পোশাক শিল্প নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। কিছু এনজিও এবং শ্রমিকনেতা নামধারী ব্যক্তি বিদেশে গিয়ে আমাদের শিল্পের বদনাম করছেন। তারা এই শিল্পকে শেষ করতে চান। সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, মালিক হিসেবে আমি অস্তিত্ব সঙ্কটে আছি। অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের ধাক্কা আমাদের সঙ্কটে ফেলে দিচ্ছে। শত কোটি টাকা খরচ করেও তাদের মনকে তুষ্ট করা যাচ্ছে না। তাদের শর্ত মানতে গিয়ে আমাদের খরচ যেভাবে বাড়ছে সেভাবে ব্যবসা নেই। তাদের অত্যাচারে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

আন্দোলনে শ্রমিকেরাও

নিরাপত্তার নামে অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স কর্তৃক পোশাক কারখানা বন্ধ করে লাখো শ্রমিক বেকার করার প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের। মানববন্ধনে সংগঠনটির সভাপতি বাহারানে সুলতান বাহার বলেন, যদি নিরাপত্তার কারণে কোনো কারখানা বন্ধ করতে হয়, তবে সংশ্লিষ্ট মালিক ও শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল অ্যাকর্ড। কিন্তু তারা সেটা না করে ঠুনকো অজুহাতে একের পর এক কারখানা বন্ধ করে চলছে। এ বছর ঢাকা ও আশপাশে ৬৪টি কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এতে রফতানিমুখী এই খাতের মালিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি হাজার হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। আমরা মনে করি, এটি কোনো সংস্কার উদ্যোগ নয়। এটি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বিরুদ্ধে একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। বিদেশী ক্রেতাদের এই দুটি জোটের মনগড়া প্রতিবেদনের কারণে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের মে মাসের পর নতুন করে অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্সকে এ দেশে কাজ করার অনুমতি না দিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান তিনি।

পরিদর্শনের নামে হয়রানির অভিযোগ

বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম ক্ষোভের সঙ্গে নয়া দিগন্তকে বলেন, ২০১২ সালে রানা প্লাজা ধসের পর থেকে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্প খাতের ওপর জেঁকে বসেছে বিদেশী ক্রেতাদের দু’টি জোট অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স। কর্মপরিবেশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নামে উদ্যোক্তাদেরকে কারখানায় নতুন নতুন বিনিয়োগে বাধ্য করে চলেছে সংগঠন দু’টি। ঘন ঘন কারখানা পরিদর্শনের নামে চলছে হয়রনি। অ্যাকর্ড তো ঘোষণা দিয়েছে আরো পাঁচ বছর এ দেশে থাকবে। এরই মধ্যে পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে চলতে ব্যর্থ হয়ে ১২০০ কারখানা বন্ধ করে দিতে হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঘটেছে কয়েক লাখ শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘটনাও। তিনি বলেন, একটি কারখানা বন্ধ করে দিয়ে ওই টাকা বিনিয়োগে অন্য কারখানাটি চালু রেখেছেন কেউ কেউ। এখন যে হারে অর্ডার মিলছে তাতে সামনের দিনগুলো আরো খারাপ যাবে বলে আশঙ্কা করেন মোহাম্মদ হাতেম। তার দাবি, এমন বিপর্যয়ের মুখে অতীতে কখনো পড়েনি রফতানি আয়ে ৮০ শতাংশ অবদান রক্ষাকারী সম্ভাবনাময় এ শিল্প খাত।

১৫ বছরে সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি

অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় তৈরী পোশাক শিল্প খাত বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। বিদায়ী অর্থবছরে রফতানিতে প্রবৃদ্ধি এসেছে গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনি¤œ। বিশেষ করে ওভেন শিল্প খাতে দেখা দিয়েছে মহা বিপর্যয়। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, সদ্যবিদায়ী ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে দুই হাজার ৮১৫ কোটি মার্কিন ডলারের তৈরী পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ। আগের বছর (২০১৫-১৬) একই সময়ে রফতানি হয় দুই হাজার ৮০৯ কোটি ডলার। অর্থাৎ গত অর্থবছরে তৈরী পোশাক রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ। অথচ তার আগের বছরও (২০১৫-১৬) অর্থবছরও রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১০ দশমিক ১৪ শতাংশ। ১৫ বছর আগে ২০০১-০২ অর্থবছরের পর আর কখনো এমন বিপর্যয়ে পড়েনি খাতটি। বর্তমানে অর্ডারপ্রাপ্তির যে অবস্থা তাতে এখনই কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে সামনের দিনগুলোয় পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এর কারণ হিসেবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিদেশী ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের ক্রমাগত চাপ, সবচেয়ে বড় বাজার আমেরিকার সাথে সম্পর্কের অবনতি, ব্রেক্সিটের কারণে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া, ভারতের আগ্রাসী পরিকল্পনা, মারাত্মক গ্যাস-বিদ্যুৎ সঙ্কট এবং সর্বোপরি চট্টগ্রাম বন্দরে ধারাবাহিক সঙ্কটসহ নানা কারণে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা করার ক্ষমতা দিনে দিনে কমছে।

মেয়াদ বাড়াবে না অ্যালায়েন্স

বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্স ফর ওয়ার্কার সেফটি ইন বাংলাদেশের (অ্যালায়েন্স) কান্ট্রি ডিরেক্টর ও ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি নয়া দিগন্তকে বলেছেন, ২০১৮ সালের জুলাই মাসের পর বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রমের মেয়াদ বাড়াবে না। তিনি বলেন, মেয়াদ বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা অ্যালায়েন্সের নেই। ষড়যন্ত্র বা ক্ষতি করার প্রশ্নই আসে না জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্পের বিপজ্জনক কর্মপরিবেশকে নিরাপদতম করে তোলার জন্য অ্যালায়েন্স কাজ করছে। বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্পকে একটি নিরাপদতম শিল্প হিসেবে গড়ে তুলতে পারে এমন কোনো স্বাধীন এবং গ্রহণযোগ্য কর্তৃপক্ষ পাওয়া গেলে ২০১৮ সালে তাদের হাতে দায়িত্ব দিয়ে আমরা চলে যাবো। সরকারকে সাথে নিয়ে মালিক-শ্রমিকেরা এক হয়ে জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে অ্যাকর্ডও এ দেশ থেকে চলে যেতে বাধ্য হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here