Home Bangla Recent দেশের গার্মেন্টসের আয়ের বেশিরভাগই শ্রীলংকা-ভারত নিয়ে যায়

দেশের গার্মেন্টসের আয়ের বেশিরভাগই শ্রীলংকা-ভারত নিয়ে যায়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গার্মেন্টস শিল্প বিষয়ে আলাদা বিভাগ চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিক। তিনি বলেন, দেশের গার্মেন্টস শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ পদে শ্রীলঙ্কা ও ভারতের নাগরিকরা বেশির ভাগ কাজ করেন। তাঁরা এ শিল্পের বেশির ভাগ আয় বাংলাদেশ থেকে তাঁদের দেশে নিয়ে যায়। গার্মেন্টস শিল্পকে লক্ষ্য করে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তেমন কোন পদক্ষেপ নেয়নি। অথচ এখনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সরকারী ও বেসরকারী কোন বিশ্ববিদ্যালয় গার্মেন্টস শিক্ষা সংক্রান্ত কোন বিভাগ চালু করেনি। গতকাল রাজধানীর ফার্ম গেইটের ডেইলী স্টার ভবন কনফারেন্স হলে ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘জাতীয় উন্নয়নে উচ্চ শিক্ষার অবদান’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মির্জা আজিজুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্রের কুইনিপিয়াক ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নিয়ামত ইলাহী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল ডিবেট ফর ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন। মূল প্রতিপাদ্য উপস্থাপন করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিক দেশে এখন কারিগরি শিক্ষার ওপর অধিক গুরুত্ব দেয়া উচিত মন্তব্য করে বলেন, দেশে কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে সরকারের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কারণ কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত যুবকরা কখনো বেকার থাকে না। শিক্ষার পর তারা কোনো না কোনো কাজে লেগে যায়। তিনি বলেন, দেশের দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানরা স্বাধীনতার সুফল হিসেবে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। দেশের স্বাধীনতার আগে দরিদ্র পরিবারের সন্তানরা উচ্চ শিক্ষার কথা চিন্তাও করতে পারতো না। দেশে কৃষিক্ষেত্রে অভাবনীয় সফলতার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশের জনসংখ্যা অনেক বেড়ে যাওয়ার পরও কৃষিতে ব্যাপক উন্নয়নের জন্যই দেশ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ হয়েছে। এ জন্য সরকার, কৃষক ও কৃষির উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত সকলকে ধন্যবাদ জানানো উচিত।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষনকে ইউনেস্কো’র ওয়াল্ডস ডকুমেন্টারী হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিক বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক এ ভাষণ শোনার ভাগ্য আমার হয়েছে। আমরা যাতে বিচ্ছিন্নতাবাদী হয়ে না যাই সেজন্য বঙ্গবন্ধু খুবই সতর্কতার সঙ্গে এ ভাষণ দিয়েছিলেন। ইউনেস্কোর অনেক আগেই এ ঘোষণা দেওয়া উচিত ছিল। তারপরও এ ঘোষণা পুরো জাতির জন্য অত্যন্ত গর্বের।

ড. মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, দেশের গার্মেন্টস ক্ষেত্রের সফলতা ধরে রাখতে হলে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের প্রযুক্তিগতভাবে আরো সুশিক্ষিত হতে হবে। কারণ বিশ্বের অন্যান্য দেশ সস্তা শ্রম শক্তি পাওয়ার জন্যই এ দেশে এ খাতে বিনিয়োগ করে থাকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here