Home Bangla Recent পোশাক খাতে ৬ মাসের মধ্যে বর্ধিত মজুরি

পোশাক খাতে ৬ মাসের মধ্যে বর্ধিত মজুরি

তৈরি পোশাক শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণে ‘নিম্নতম মজুরি বোর্ড’ গঠনে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অচিরেই এ বোর্ড গঠন হচ্ছে। এরই মধ্যে বোর্ডে মালিক ও শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে পাঠানো নাম অনুমোদন করা হয়েছে। গঠনের পরপরই কার্যক্রম শুরু করবে মজুরি বোর্ড। বোর্ড গঠনের ছয় মাসের মধ্যে নূ্যনতম মজুরি ঘোষণা করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে, আগামী ছয় মাসের মধ্যে পোশাক শ্রমিকরা নতুন কাঠামোয় বর্ধিত হারে মজুরি পাবেন।

জানতে চাইলে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু সমকালকে বলেন, মজুরি বোর্ড গঠনে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন। এ মাসেই বোর্ড গঠনের ঘোষণা দেওয়া হবে।

মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান সব পেশার মজুরি কাঠামো নির্ধারণের জন্য নিযুক্ত। পোশাক খাতের মজুরি বোর্ডেরও তিনিই চেয়ারম্যান। এর বাইরে মালিকপক্ষের স্থায়ী সদস্য হিসেবে এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের কাজী সাইফুদ্দিন আহম্মেদ এবং শ্রমিকপক্ষের স্থায়ী সদস্য হিসেবে ফজলুল হক মন্টু আছেন বোর্ডে। এবারের বোর্ডের জন্য মালিকপক্ষের একজন এবং শ্রমিকপক্ষের একজন প্রতিনিধিকে মনোনীত করা হয়েছে। মজুরি বোর্ডের বর্তমান সভাপতি সৈয়দ আমিনুল ইসলাম।

মজুরি বোর্ডে মালিকপক্ষের প্রতিনিধি মনোনীত হয়েছেন বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। অন্যদিকে শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি মনোনীত হয়েছেন জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ।

২০১৩ সালের মজুরি বোর্ডে মালিকপক্ষের প্রতিনিধি ওই সময়ের মজুরির তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি মজুরি প্রস্তাব করেন। অন্যদিকে শ্রমিক প্রতিনিধিরা ১৭০ শতাংশ বাড়িয়ে ৮ হাজার ১১৪ টাকার প্রস্তাব করেন। পরে অবশ্য পাঁচ হাজার ৩০০ টাকার প্রস্তাব নূ্যনতম মজুরি নির্ধারিত হয়। গত প্রায় ৪ বছর ধরে এ হারেই মজুরি কার্যকর রয়েছে।

বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান সমকালকে বলেন, এখনও নূ্যনতম মজুরির প্রস্তাব নির্ধারণ করেননি তারা। তবে পোশাক খাতের জাতীয়-আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে একটা যুক্তিসঙ্গত হার চাইবেন তারা, যাতে শ্রমিকরা না ঠকেন, আবার শিল্প প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে। কারণ শ্রমিক না থাকলে যেমন শিল্প থাকবে না, আবার শিল্প না থাকলে শ্রমিকরাই বা যাবেন কোথায়।

শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি শুক্কুর মাহমুদ সমকালকে বলেন, বোর্ড গঠন এবং বোর্ডে মালিক এবং শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধিদের নাম দু-একদিনের মধ্যে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। তারপর কার্যক্রম শুরু করবেন তারা। শ্রমিকদের পক্ষ থেকে কত টাকা মজুরি দাবি করা হবে- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে দাবির পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে।

গত মাসে মজুরি সমন্বয়ের প্রক্রিয়া শুরু করতে অনুরোধ জানিয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায় বিজিএমইএ। আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন ইন্ডাস্ট্রিঅলের বাংলাদেশ শাখা ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিলের (আইবিসি) পক্ষ থেকে বিজিএমইএর কাছে পাঠানো এক চিঠিতে মজুরি বাড়ানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। আইবিসি মহাসচিব তৌহিদুর রহমান সমকালকে বলেন, চালের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি, অনিয়ন্ত্রিত বাড়ি ভাড়া ও দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতির কারণে পোশাক খাতের ৪৫ লাখ শ্রমিকের জীবনযাপন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। এ কারণে মজুরি বাড়ানোর দাবি তুলেছেন তারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here