Home বাংলা নিউজ বড় বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কমছে

বড় বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কমছে

বড় বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কমছে

৫৪০ কোটি ডলারের রপ্তানির বিপরীতে প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ৭৪ শতাংশ। গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির এই সাফল্য ছয় মাসের ব্যবধানেই মলিন হয়ে গেছে। বাজারটিতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি তলানিতে ঠেকেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় সর্বোচ্চ পোশাক রপ্তানিকারকের স্থানটি অক্ষুণ্ন আছে বাংলাদেশের। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) যুক্তরাষ্ট্রে ২৭২ কোটি ৮১ লাখ মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এই আয় গত বছরের একই সময়ে রপ্তানি হওয়া ২৬৮ কোটি ৭৩ লাখ ডলারের চেয়ে মাত্র ১ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (অটেক্সা) ২ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, গত জানুয়ারি-জুন সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে ৯৭ কোটি বর্গমিটারের সমপরিমাণ পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে ৪ দশমিক ২৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

এদিকে গত বছরের প্রথম ছয় মাসের চেয়ে এবার (জানুয়ারি-জুন) বিভিন্ন দেশ থেকে পোশাক আমদানি কিছুটা কমিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আলোচ্য সময়ে ১ হাজার ২৫৯ কোটি বর্গমিটার কাপড়ের সমপরিমাণ ৩ হাজার ৭৯৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক কিনেছে তারা। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২ দশমিক ৮৭ শতাংশ কম (অর্থের হিসাবে)। বাংলাদেশ গত বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২ হাজার ৬৬০ কোটি মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ২০ শতাংশ বা ৫৪০ কোটি ডলারের পোশাক। এই আয় ২০১৪ সালের ৪৮৩ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানির চেয়ে ১১ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেশি। ২০১১ সালের পর এটি সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি। অটেক্সার তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে ৪৯ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়। তখন ১১ দশমিক ৩১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়। তবে পরের মাস (ফেব্রুয়ারি) থেকেই বাজারটিতে পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি প্রায় ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে। ফলে ছয় মাস শেষে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক প্রবৃদ্ধি দেড় শতাংশে নেমে গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি মাহমুদ হাসান খান প্রথম আলোকে গত রাতে বলেন, সামগ্রিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র পোশাক আমদানি কমিয়ে দিয়েছে। তা ছাড়া পোশাকের দামও গত বছরের চেয়ে কমে গেছে। সব মিলিয়ে দেশটিতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কমেছে। তিনি বলেন, বছর শেষ হতে ছয় মাস বাকি আছে। ফলে পরিস্থিতি পরিবর্তন হলেও হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে আছে যথাক্রমে চীন, ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশ। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে এই বাজারে চীন ১ হাজার ১৯৫ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ দশমিক ২০ শতাংশ কম। অন্যদিকে ভিয়েতনাম গত জানুয়ারি-জুন সময়ে রপ্তানি করেছে ৫১০ কোটি ডলারের পোশাক। এ ক্ষেত্রে তাদের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে আছে যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়া ও ভারত। বছরের প্রথম ছয় মাসে ইন্দোনেশিয়া ২৪০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, প্রবৃদ্ধি হয়েছে ঋণাত্মক ৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ। আর ভারত রপ্তানি করেছে ২০২ কোটি ডলারের পোশাক। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ।