Home Bangla Recent মেয়াদ শেষে অ্যাকর্ডের প্রয়োজন নেই

মেয়াদ শেষে অ্যাকর্ডের প্রয়োজন নেই

accord

নির্ধারিত পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে পোশাক খাতে সংস্কারবিষয়ক ইউরোপের ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশের (অ্যাকর্ড) আর কোনো প্রয়োজন নেই বলে আবারও জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, এ জোট বর্তমান মেয়াদের পর আরও বেশি সময় ধরে এ দেশে থাকতে চাইলে নতুন করে আবার আলোচনা হতে হবে। পুরনো কাঠামোয় তাদের সঙ্গে চুক্তি হবে না।

গতকাল সোমবার বিজিএমইএ ভবনে অ্যাকর্ডের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ে সংস্কারকাজ শেষ না হলে প্রয়োজনে তা তদারকির জন্য প্যারিস প্রস্তাব অনুযায়ী নতুন একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হবে। সেখানে সরকার, আইএলও, বিজিএমইএ ও শ্রমিক সংগঠনের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে ক্রেতাজোট অ্যাকর্ড একটি পক্ষ হিসেবে থাকতে পারে। তবে বৈঠকে আ্যাকর্ডের আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্ধারিত মেয়াদের অতিরিক্ত আরও তিন বছর এ দেশে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কী আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি তিনি। সরকারের সঙ্গে আগামী বৃহস্পতিবারের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে।

গতকালের বৈঠকে অ্যাকর্ডের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য স্টক নোভা। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সিদ্দিকুর রহমান। বিজিএমইএ সহ-সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবুসহ অন্য নেতারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, মূলত অ্যাকর্ডের সঙ্গে অনিষ্পম্ন বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। ওইসব ইস্যুতে বিজিএমইএর বিভিন্ন বক্তব্য মেনে নিয়েছেন অ্যাকর্ড প্রতিনিধিরা। বিষয়গুলো কী- জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনুমোদিত সংস্কার কর্মপরিকল্পনার (ক্যাপ) মধ্যে আবারও নতুন শর্ত চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে অনুমোদিত ক্যাপ প্রতিপালনকারী কারখানাকেও সনদ দেওয়া হচ্ছে না। তিনি জানান, এ বিষয়ে বিজিএমইএর সঙ্গে আলোচনার জন্য বৈঠকে বলা হয়েছে। ক্যাপ সংশোধন যৌক্তিক হলে তা বাস্তবায়নে প্রয়োজনে তাদের সংগঠন উদ্যোক্তাদের বাধ্য করবে। তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া কোনো গ্রুপের একটি কারখানায় নিরাপত্তা ত্রুটি পাওয়া গেলে ওই গ্রুপের বিষয়ে ওয়েবসাইটে তথ্য দেওয়া হয়। তখন বাকি কারখানাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে অ্যাকর্ড।

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, অ্যাকর্ডের সঙ্গে আগামী বৃহস্পতিবারের বৈঠকে আরও বিস্তারিত আলোচনা হবে। সেখানে যে সিদ্ধান্ত হবে সেটি পোশাক শিল্প এবং দেশের স্বার্থ বজায় রেখেই হবে বলে আশা করেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here