Home Bangla Recent রংপুর অঞ্চলে ১৩ হাজার বেল তুলা উৎপাদন

রংপুর অঞ্চলে ১৩ হাজার বেল তুলা উৎপাদন

চলতি মৌসুমে রংপুর অঞ্চলের ২ হাজার ২৪০ হেক্টরে তুলা আবাদ হয়েছিল। এর বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে ১২ হাজার ৮৬৪ বেল। মোট ৬ হাজার ১৪০ টন বীজ তুলার বিপরীতে এ পরিমাণ তুলা উৎপাদন হয়েছে। তুলা উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর জোন সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

তুলা উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, ২০১৬-১৭ মৌসুমে রংপুর অঞ্চলের ১৭টি ইউনিটের ৬ হাজার ৭২৭ জন তালিকাভুক্ত কৃষক সবমিলে ২ হাজার ২৪০ হেক্টরে তুলা আবাদ করেন। এর মধ্যে রংপুর জেলার সাত ইউনিটে বীজ তুলা উৎপাদন হয়েছে ২ হাজার ৯৩৫ টন। একইভাবে গাইবান্ধার চার ইউনিটে ১ হাজার ৪০০, লালমনিরহাটের তিন ইউনিটে ১ হাজার ৩৬, কুড়িগ্রামের দুই ইউনিটে ৪৯৯ ও নীলফামারীর একটি ইউনিটে ২৭০ টন বীজ তুলা উৎপাদন হয়েছে। এসব বীজ তুলা প্রক্রিয়াজাত করে মোট ১২ হাজার ৮৬৪ বেল তুলা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।

তুলা উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ মৌসুমে রংপুর অঞ্চলে মোট ৬ হাজার ৯১ টন বীজ তুলা উৎপাদন হয়েছিল। এসব বীজ তুলা প্রক্রিয়াজাত করে গত মৌসুমে ১২ হাজার ৯২৩ বেল তুলা পাওয়া গিয়েছিল।

তুলা বোর্ডের রংপুর জোনে রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলা অন্তর্ভুক্ত। তবে নীলফামারীর চিলাহাটি ও দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে এ জোনের আওতায় আবাদ হচ্ছে।

রংপুর জেলার পীরগঞ্জের ধাপের হাট চতরা গ্রামের কৃষক সুলতান মিয়া এ বছর ৪০ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের তুলা রুপালি-১ আবাদ করেছিলেন। মোট ২৫ মণ তুলা উৎপাদন করেছেন তিনি। তিনি জানান, ৪০ শতক জমিতে তার উৎপাদন ব্যয় হয়েছে ১২ হাজার টাকা। বাজারে বর্তমানে প্রতি মণ তুলা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২৪০ টাকায়। এ হিসাবে তার উৎপাদিত ২৫ মণ তুলার দাম পড়বে প্রায় ৫৬ হাজার টাকা।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর প্রতি মণ তুলা ২ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সে তুলনায় চলতি বছর বেশ ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে পণ্যটি। বাজারে প্রতি মণ তুলা গড়ে ২ হাজার ২৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা আরো জানান, তুলার দাম নির্ধারণ হয় আন্তর্জাতিকভাবে। এ কারণে স্থানভেদে দামে কোনো পার্থক্য থাকে না।

তুলা উৎপাদন সম্পর্কে জানতে চাইলে তুলা উন্নয়ন বোর্ড, রংপুর জোনের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, ‘গত দুই বছরে রংপুর ও লালমনিরহাটের অনেক চরের জমি তুলা আবাদের আওতায় এসেছে। আগে এসব জমিতে তামাক আবাদ হতো। এ অঞ্চলে তুলা উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছি।’