রাজধানীর বাজারগুলোতে এখন মাছের আঁইশ ফেলে দেওয়া হয় না। মাছ কাটাকুটির পর তা সংগ্রহ করা হয়। শুনতে অবাক হলেও নিয়মিত এ কাজ করা হয়। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও খুলনা অঞ্চলের মাছ প্রক্রিয়াজাত কারখানাগুলো থেকেও তা সংগ্রহ করা হয়। কেননা রফতানি তালিকায় এবার যুক্ত হয়েছে এক সময় ফেলে দেওয়া মাছের এ আঁইশ। আঁইশ থেকে তৈরি জিলাটিন ওষুধের ক্যাপসুলের খোসা উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। এ কারণে মাছের আইশের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
মৎস্য অধিদপ্তরের পণ্য রফতানি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিংড়ির খোসা ও ফিশ স্কেল বা মাছের আঁইশ রফতানিতে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের মে পর্যন্ত আয় হয়েছে ২ লাখ ৮৬ হাজার ৫৬০ ডলার। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ২ কোটি ২৫ লাখ। চলতি অর্থবছরের মে পর্যন্ত মাছের আঁইশ রফতানির পরিমাণ ৪৪৬ টন।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, মাছ রফতানিতে ভালো করার পাশাপাশি চেষ্টা চলছে আঁইশ রফতানিতে সাফল্য অর্জনের। দেশীয় উদ্যোক্তারাও আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। বিভিন্ন বাজার ও মাছ প্রক্রিয়াজাত কারখানাগুলোতে এখন আঁইশ সংরক্ষণ করা হচ্ছে। মাছের আঁইশ সংরক্ষণ বাড়ানো গেলে বিদ্যমান রফতানি বাড়িয়ে ২০০ কোটি টাকার বেশি আয় করার সুযোগ রয়েছে।
বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া, চীন, হংকংসহ বিভিন্ন দেশে রফতানি হচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে বায়োটেক ও এবিসি আলম করপোরেশনসহ দেশের ৫টি প্রতিষ্ঠান মাছের আঁইশ রফতানি করছে। শুধু আঁইশ রফতানিতে সীমাবদ্ধ না রেখে জিলাটিন তৈরির চেষ্টা চলছে। দেশে জিলাটিন তৈরি করা সম্ভব হলে ক্যাপসুলের এ উপাদান আমদানির প্রয়োজন হবে না। আবার রফতানিতেও আয় বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।