অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কাজ এগিয়ে নিতে বাংলাদেশকে ১৩ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী (১ ডলার সমান ৭৮ টাকা) এর পরিমাণ ১ হাজার ১৪ কোটি টাকা। বেসরকারি খাত উন্নয়ন সহায়তা প্রকল্পে (পিএসডিএসপি) অতিরিক্ত এ ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। এর মধ্যে ওই প্রকল্পে ৪ কোটি ডলার অর্থায়ন করেছে সংস্থাটি।
গতকাল রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সম্মেলন কক্ষে এ-সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়। এতে সরকারের পক্ষে ইআরডির অতিরিক্ত সচিব কাজী শফিকুল আযম ও বিশ্বব্যাংকের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর রাজশ্রী এস পারালকার সই করেন। ইআরডি এবং বিশ্বব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বব্যাংকের এ ঋণ ৬ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছরে পরিশোধ করতে হবে। সুদের হার শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ চার্জ। ঋণ পাওয়ার ৬ বছর পর থেকে পরিশোধ শুরু হবে। কাজী শফিকুল আযম বলেন, লাইসেন্সপ্রাপ্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নে অতিরিক্ত অর্থায়নের অর্থ ব্যয় করা হবে। এর আওতায় অর্থনৈতিক অঞ্চলে আন্তর্জাতিক মানদ , বিল্ডিং কোড এবং সামাজিক ও পরিবেশগত মান বৃদ্ধির মাধ্যমে কমপল্গায়েন্স ব্যবস্থার উন্নয়ন করার পরিকল্পনা রয়েছে। বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির লক্ষ্যে সক্ষমতার উন্নয়ন, জোন-সংশিল্গষ্ট অবকাঠামো নির্মাণ এবং দক্ষতা ও সামাজিক এবং পরিবেশগত মান নিশ্চিত করা এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
রাজশ্রী এস পারালকার বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য উৎপাদনশীল খাতের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে হবে। অর্থনৈতিক অঞ্চল বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ আকর্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সরকার আগামী ১৫ বছরের মধ্যে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন সরকারের এ পরিকল্পনা বাস্তায়নে সহায়তা করবে।
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাংক প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার ঋণ ও অনুদান দিয়েছে। এর মধ্যে সহজ শর্তে ৯ বিলিয়ন ডলারের ৩৭ প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, কৃষি, বিদ্যুৎ, অবকাঠামো এবং মানব উন্নয়নসহ কয়েকটি খাতের প্রকল্পে অর্থায়ন করছে।