বাজেট আলোচনা শেষ। জাতীয় সংসদে বাজেট পাস হয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ফের প্রস্তাব চেয়েছে। বাজেট কেন্দ্রিক এ প্রস্তাব চেয়ে বাণিজ্যিক সংগঠনগুলোকে চিঠি দিয়েছে। এ প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পুনর্বিবেচনার জন্য প্রস্তাবের কপি পাঠাতে বলা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনাকে নজিরবিহীন উল্লেখ করে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাণিজ্য সংগঠনের নেতারা।
জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই এফবিসিসিআই’র মহাসচিব স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোর ঠিকানায় পাঠানো হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এফবিসিসিআইয়ের প্রথম সহ-সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, বাজেটের আগে স্বল্প সময় পাওয়া যায়। এ স্বল্প সময়ের মধ্যে অনেক কিছু সরকারকে বোঝানো সম্ভব হয় না। কিন্তু ব্যবসার স্বার্থে ব্যবসায়ীদের চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
এর কারণ অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে এসেও ব্যবসার স্বার্থে এনবিআর থেকে এসআরও, প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তাই বাণিজ্য সংগঠনগুলোর কাছে বাজেট পরবর্তী প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে এবং সবাইকে বলা হয়েছে প্রস্তাবের কপি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে। যাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে সুপারিশ করা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকটি বাণিজ্য সংগঠনের নেতারা বলছেন, বাজেট পরবর্তী এ ধরনের প্রস্তাব চাওয়া নজিরবিহীন ঘটনা। ব্যর্থতা আড়াল করতেই বর্তমান কমিটি প্রস্তাব চেয়েছে। প্রতিবছর বাজেটে আগে প্রস্তাবগুলো নিয়ে সরকারের বিভিন্ন মহলে কড়া দাবি জানানো হলেও এবার ব্যত্যয় ঘটেছে।
এ কারণেই ব্যবসায়ীদের অনেক প্রস্তাব আমলে নেয়া হয়নি। তবে অনেক ব্যবসায়ী নেতা বলছেন, উদ্যোগটি ভালো। তাড়াহুড়োর কারণে বাজেটের আগে অনেক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি বাজেটের পর পণ্যের শুল্ক হ্রাস-বৃদ্ধির প্রভাব বিবেচনা করে নতুন সিদ্ধান্তে যেতে পারে সরকার। এ কারণে বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন তারা। প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির সভাপতি ও এফবিসিসিআই’র সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, ব্যবসায়ীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে এখন যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা বাজেটের আগে নিলে ভালো হতো। বেশি উপকার পাওয়া যেত।
এফবিসিসিআই সূত্র জানিয়েছে, বাণিজ্য সংগঠনগুলোর কাছ থেকে প্রস্তাবের অনুলিপি পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো একত্রে করা হচ্ছে। অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রস্তাব নিয়ে সময়ে সময়ে সরকারে ঊর্ধ্বতন মহলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। এছাড়া নতুন ভ্যাট আইন নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য পেপার তৈরি করা হচ্ছে।