রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সরাতে ব্যর্থ মালিকেরা আদালতের জরিমানার টাকা জমা দিতে শুরু করেছেন। এ পর্যন্ত ৯৮টি ট্যানারি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ৫৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা জমা দিয়েছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। এদিকে, ট্যানারি মালিকেরা জানিয়েছেন, জরিমানার রায়ের রিভিউ চেয়ে তাঁরা আবেদন করবেন। তবে সেটা পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পর।
বড় ট্যানারিগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএলএলএফইএ) সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা জরিমানা দিতে শুরু করেছি, যাতে রিভিউ আবেদনের সময় বলতে পারি যে রায় অমান্য করছি না।’
হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সরিয়ে সাভারের চামড়া শিল্পনগরে নিতে ২০০৩ সালে একটি প্রকল্প নেয় সরকার। দফায় দফায় সময় ও ব্যয় বাড়িয়ে সেই প্রকল্প এখনো বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। ট্যানারি মালিকেরাও সাভারে কারখানা তৈরি করতে বিলম্ব করেছেন, সরকারও সময়মতো কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ শেষ করতে পারেনি।
গত ১৬ জুন হাজারীবাগ ছাড়তে বিলম্বের জন্য ট্যানারিগুলোকে পরিবেশদূষণের ক্ষতিপূরণ বাবদ দিনে ৫০ হাজার টাকা করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে বলেছিলেন হাইকোর্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধে ট্যানারি মালিকেরা আপিল করেন। ১৮ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ জরিমানার পরিমাণ কমিয়ে ১০ হাজার করে দেন।
গত সোমবার শিল্পসচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া আদালতে জমা দেওয়া এক প্রতিবেদনে জানান, ১১ থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত ৯৮টি ট্যানারি জরিমানার অর্থ জমা দিয়েছে। উল্লেখ্য, হাজারীবাগ থেকে ১৫৪টি ট্যানারির সাভারে যাওয়ার কথা। মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, রিভিউ করার সিদ্ধান্ত বাতিল হয়নি। পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পর রিভিউ আবেদন করা হবে।