সর্বশেষ ২০১৫ পঞ্জিকা বছরের মতো গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরেও দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে দুই বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলারের বেশি। এর আগে কখনও এক অর্থবছরে এ পরিমাণ এফডিআই আসেনি। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য বিষয়ক সর্বশেষ পরিসংখ্যানে সে বিনিয়োগের এ তথ্য রয়েছে। এতে দেখা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে নিট এফডিআই এসেছে ২০০ কোটি ১০ লাখ ডলার, যা আগের ২০১৪-১৫ অর্থবছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরে ১৮৩ কোটি ডলার এফডিআই এসেছিল।
বেশকিছু দিন ধরে স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্পে সরকারের বিনিয়োগ বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করেছে বলে মনে করছেন আর্থিক খাতের বিশ্লেষকরা। তবে জিডিপির হিসাবে ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগও যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন তারা। এ বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর সমকালকে বলেন, প্রথমবার দুই বিলিয়ন ডলার এফডিআই এসেছে, এটা ভালো দিক। তবে জিডিপির হিসাবে এ বিনিয়োগ পর্যাপ্ত নয়। এখনও জিডিপির ১ শতাংশ এফডিআই আসছে না। অথচ ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনামে এখানকার তুলনায় কয়েকগুণ বেশি বিনিয়োগ আসছে। এ খাতে বাংলাদেশের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে বিনিয়োগ আকর্ষণে অবকাঠামো উন্নয়ন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করে আরও বিনিয়োগবান্ধব হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। পঞ্জিকা বছরের হিসাবে ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এফডিআই ২০০ কোটি ডলারের ঘর অতিক্রম করে। গত বছর ২২৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের এফডিআই আসে, যা ছিল ২০১৪ সালের চেয়ে ৪৪ শতাংশ বেশি। তবে গত অর্থবছরে শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ কমে হয়েছে ১২ কোটি ৪০ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৬৭ শতাংশ কম।