Home বাংলা নিউজ কারখানা সংস্কারে ৬ থেকে ৭% সুদে ঋণ: জাইকা ও এএফডির তহবিল

কারখানা সংস্কারে ৬ থেকে ৭% সুদে ঋণ: জাইকা ও এএফডির তহবিল

garment

তৈরি পোশাক কারখানার নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও শ্রমকল্যাণ নিশ্চিত করতে জাইকা ও এএফডি থেকে ঋণ নিয়ে কারখানা মালিকদের কম সুদে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সরকার বৈদেশিক মুদ্রায় এসব ঋণ নিয়ে উদ্যোক্তাদের দেবে স্থানীয় মুদ্রায়। জাইকা থেকে যে অর্থ সরকার নেবে উদ্যোক্তা পর্যায়ে তার সুদহার হবে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ। এএফডি থেকে নেওয়া ঋণের উদ্যোক্তা পর্যায়ে সুদহার হবে সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের ট্রেজারি ও ঋণ ব্যবস্থাপনা বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে সরকার জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থা (জাইকা) থেকে ৪১৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ৩০০ কোটি টাকা) ঋণ নিয়েছে। একই সঙ্গে ফ্রান্সের উন্নয়ন সংস্থা এএফডি থেকে সরকারের আরও ৫ কোটি ইউরো (৪৩৫ কোটি টাকা) ঋণ নেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। এসব অর্থ দেশের তৈরি পোশাক কারখানার নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও শ্রমকল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের দেওয়া হবে।

জানা গেছে, জাইকার অর্থের ক্ষেত্রে সরকার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে দশমিক ৯০ শতাংশ সুদ নেবে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক সার্ভিস চার্জ নেবে ১ শতাংশ। বাণিজ্যিক ব্যাংক নেবে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ। তবে গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ সুদহার ৬ শতাংশের বেশি হবে না। আর এএফডির অর্থে সরকার সুদ নেবে দশমিক ৭৫ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকও একই হারে অর্থাৎ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে এই তহবিলে সার্ভিস চার্জ নেবে। আর বাণিজ্যিক ব্যাংক নেবে ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। তবে গ্রাহক পর্যায়ে এই তহবিলের সর্বোচ্চ সুদহার হবে ৭ শতাংশ।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, জাইকার তহবিলটি বাংলাদেশ ব্যাংকে এসেছে। এই তহবিলের সুদহার নির্ধারণসহ একটি কাঠামো তৈরির কাজ চলছে। খুব শিগগির এ বিষয়ে সার্কুলার করা হবে, যাতে উদ্যোক্তারা ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। একজন উদ্যোক্তা সর্বোচ্চ কত ঋণ পাবেন, কত সময়ের জন্য পাবেন, জামানত কি থাকবে এসব এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান তিনি। এএফডির ঋণটিও একই কাঠামোতে বিতরণ করা হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

এর আগে দেশের এসএমই খাতের জন্য জাইকা থেকে সরকার ৪০০ কোটি টাকার তহবিল ঋণ নিয়েছে। ওই তহবিলও বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের উদ্যোক্তাদের মাঝে বিতরণ করা হয়। তবে এ ক্ষেত্রে গ্রাহক পর্যায়ে সুদহারে কোনো সীমা নির্ধারণ করা নেই। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের পর ওই তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা ঝুঁকিপূর্ণ পোশাক কারখানার সংস্কারে বরাদ্দ রাখা হয়। যদিও এ পর্যন্ত মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠানকে এই তহবিল থেকে ঋণ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও বিশ্বব্যাংকের সহযোগী সংস্থা আইএফসির এক পর্যালোচনা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঋণের উচ্চ সুদহারের কারণে বাংলাদেশের ছোট ও মাঝারি তৈরি পোশাক কারখানার সংস্কার কার্যক্রম কাঙ্ক্ষিত গতি পাচ্ছে না।