নতুন অর্থবছরের (২০১৬-১৭) প্রথম মাস জুলাইয়ে গত বছরের একই মাসের তুলনায় রফতানি কমেছে সাড়ে ৩ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রা থেকে আয় কমেছে ২৫ শতাংশের মতো। রফতানিকারকদের মতে, অর্থবছরের প্রথমদিকে সব সময়ই রফতানি কম হয়। মৌসুম পরিবর্তনের কারণে এ রকম হয়ে থাকে। তবে হলি আর্টিসানসহ সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার সঙ্গে জুলাই মাসের রফতানি আয় কমে যাওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, জুলাইয়ে রফতানি আয় হয়েছে ২৫৩ কোটি ৪৩ লাখ ডলার। এ লক্ষ্যমাত্রা থেকে আয় কম হয়েছে ৮৪ কোটি ডলার। জুলাই মাসের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৩৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার। গত বছরের জুলাইয়ে রফতানি আয় ছিল ২৬২ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
প্রধান পণ্য তৈরি পোশাকের রফতানি আয় কমেছে ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রা থেকে আয় কম হয়েছে ২৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। আয়ের পরিমাণ ২১২ কোটি ডলার। মূলত তৈরি পোশাকের রফতানি আয় কমে যাওয়ার কারণেই সার্বিক রফতানি কমেছে। তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রফতানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক আশিকুর রহমান তুহিন সমকালকে বলেন, শীত মৌসুম পরিবর্তনের কারণে জুলাই মাসে রফতানি কম হয়েছে। এ ছাড়া ঈদের মাসের কারণে রফতানি কম হয়। কারণ এ সময় ৭ থেকে ৮ দিন ছুটি থাকে। ছুটি শেষেও কাজে গতি আসতে সময় লাগে। আরও দু-এক মাস এ রকম অবস্থা থাকতে পারে। তবে সম্প্রতি দেশের জঙ্গি হামলার সঙ্গে জুলাইয়ের রফতানি চিত্রের কোনো সম্পর্ক নেই। পোশাকের বাইরে রফতানি খাতের উল্লেখযোগ্য পণ্যের মধ্যে পাটের রফতানি বেড়েছে প্রায় ২৬ শতাংশ। এ খাতের সব ধরনের পণ্যের আয় বেড়েছে। মাছ, চিংড়িসহ হিমায়িত সব পণ্যের আয় কমেছে । ওষুধ, চা ও চামড়ার রফতানিও কমেছে। তবে চামড়া পণ্যের রফতানি বেড়েছে ৩৫ শতাংশের বেশি।