Home বাংলা নিউজ চট্টগ্রাম বন্দরে আবার কনটেইনার জট

চট্টগ্রাম বন্দরে আবার কনটেইনার জট

চট্টগ্রাম বন্দরে আবার কনটেইনার জট

ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে আবার জট লেগেছে চট্টগ্রাম বন্দরে। ঈদের আগে ও পরে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের মতো ভারী যানবাহন মহাসড়কে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় এবং ছুটি দীর্ঘ হওয়ায় বন্দর থেকে পণ্য খালাস করেননি অনেক ব্যবসায়ী। তাই বন্দরের টার্মিনালগুলোতে ধারণক্ষমতা ছাড়িয়ে গেছে কনটেইনার। দেশের প্রধান এ সমুদ্রবন্দরে ২০ ফুট দীর্ঘ ৩৬ হাজার ৩৫৭ একক কনটেইনার রাখার জায়গা থাকলেও গতকাল পর্যন্ত কনটেইনার ছিল ৩৭ হাজার ৭৭৬ একক। সংশ্লিষ্টরা জানান, স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন গড়ে চার হাজার টিইইউএস পণ্য বোঝাই কনটেইনার খালাস হওয়ার কথা থাকলেও গত দু’দিনে কনটেইনার খালাস হয়েছে যথাক্রমে ৩১৩ ও ৪৭৪ টিইইউএস। জাহাজের জট আছে বহির্নোঙরেও। সেখানে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে অপেক্ষমাণ জাহাজ আছে ৩৭টি। গত ঈদের সময়েও বন্দরে তৈরি হয়েছিল কনটেইনার ও জাহাজজট।

এদিকে বন্দরের বহির্নোঙরেও জট লেগেছে জাহাজের। গতকাল পর্যন্ত জেনারেল কার্গো বোঝাই ৯টি, খাদ্যসামগ্রী বোঝাই ৬টি, সার বোঝাই ৫টি, সিমেন্ট ক্লিংকার বোঝাই ১২টি, চিনি বোঝাই ৩টি ও লবণ বোঝাই দুটি জাহাজ ছিল বন্দরের বহির্নোঙরে। বন্দরের সদস্য (পরিকল্পনা ও প্রশাসন) জাফর আলম সমকালকে বলেন, সাধারণত প্রতিদিন গড়ে চার হাজার কনটেইনার খালাস হলেও গত সপ্তাহে কনটেইনার খালাস হয়েছে গড়ে ২০০ থেকে ৩০০। এজন্য বন্দরে ধারণক্ষমতার বাইরে আছে কনটেইনার। বিজিএমইএর সাবেক প্রথম সহসভাপতি নাছির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বন্দরের কনটেইনারজট সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।

বন্দর সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন নামাজের জন্য মাত্র আট ঘণ্টার জন্য বন্দর বন্ধ থাকলেও ঈদের এক সপ্তাহ আগ থেকেই অব্যাহত ছিল কনটেইনার খালাসের এ ধীরগতি। তাই গতকাল ৩৬ হাজার ৩৫৭ টিইইউএস কনটেইনারের বিপরীতে বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে পড়েছিল ৩৭ হাজার ৭৭৬ একক কনটেইনার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল এফসিএল (ফুল কনটেইনার লোড) ড্রাই কনটেইনার। এ ধরনের কনটেইনারের ধারণক্ষমতা ২২ হাজার ৪৮৫ টিইইউএস থাকলেও গতকাল ছিল ২৭ হাজার ৬৬৩ টিইইউএস।