বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বৈদেশিক বাণিজ্যে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ছে। এক বছরের ব্যবধানে আমদানি ও রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে নিবন্ধন নিয়েছে এক হাজার পাঁচটি প্রতিষ্ঠান। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এ সংখ্যা ছিল ৫০৪। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে ব্যবসার পরিবেশ ভালো থাকায় এ হার বেড়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
নতুন প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনের কারণে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যও বেড়েছে। পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আয়ও বেড়েছে বলে জানান তারা। এ প্রসঙ্গে আমদানি-রফতানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর (সিসিআইই) চট্টগ্রাম কার্যালয়ের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলতাফ হোসেন সমকালকে বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে গত অর্থবছরের চেয়ে এবার আমদানি ও রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। একই সঙ্গে আমদানি যেমন বাড়ছে, তেমনি রফতানির পরিমাণও বেড়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, অর্থনীতির আকার বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে আমদানি-রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। যে কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল, বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য, দেশের উৎপাদিত পণ্য বাইরে পাঠানোর কাজ করে থাকে এসব প্রতিষ্ঠান। সিসিআইই সূত্র জানায়, ২০১২-১৩ অর্থবছরে আমদানি-রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিবন্ধন নিয়েছে এক হাজার ৪০৬টি, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এক হাজার ৩৩৭টি, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৫০৪টি ও ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এক হাজার পাঁচটি প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ সংখ্যা ছিল ১০১টি। বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি মঈনুদ্দিন আহমেদ মিন্টু সমকালকে বলেন, রফতানি বৃদ্ধির সঙ্গে বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামালের আমদানিও বাড়বে। প্রবৃদ্ধির এ ধারাবাহিকতার কারণে আমদানি-রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ছে।