ব্যবসা সহজিকরণের তালিকায় দুই ধাপ অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশের। ব্যবসা সক্ষমতা সূচকে ১৭৮তম অবস্থান থেকে ১৭৬তম স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ডুয়িং বিজনেস রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে। সহজে ব্যবসা পরিচালনার তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ১৯০টি দেশ নিয়ে এ তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক।
ডুয়িং বিজনেস ২০১৭ রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ব্যবসা সক্ষমতা বেড়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ও পাকিস্তানেরও ব্যবসা সক্ষমতা বেড়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী এবারও সহজে ব্যবসা পরিচালনায় বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষস্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। এরপর রয়েছে সিঙ্গাপুর, ডেনমার্ক, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন ও মেসিডোনিয়া। সূচকের শীর্ষে থাকা ২৫টি দেশের মধ্যে ২০টি দেশ গতবারের চেয়ে তাদের ব্যবসা শুরুর প্রক্রিয়া আরও সহজ করেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের জন্য পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ভুটান। সূচকে ভুটান ৭৩তম, নেপাল ১০৭তম, শ্রীলংকা ১১০তম, ভারত ১৩০তম, পাকিস্তান ১৪৪তম এবং আফগানিস্তান ১৮৩তম অবস্থানে রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় একমাত্র আফগানিস্তান ব্যবসা সহজিকরণে কোনো অগ্রগতি নেই।
বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ পল রোমার বলেন, নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি এবং নারীদের জন্য অধিকতর সুযোগ ও সুশাসন নিশ্চিত করার মাধ্যমে ব্যবসা সহজিকরণ করা হয়। যদি কোনো দেশ এসব কাজ করতে ব্যর্থ হয় তবে তার নেতৃত্ব দেয়ার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে ১০০ পয়েন্টের মধ্যে বাংলাদেশের অর্জন ৮১ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট। নতুন ব্যবসা শুরু করতে এখানে নয়টি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। এতে সময় লাগে গড়ে সাড়ে ১৯ দিন। সব মিলে এ সূচকে ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২২তম। তবে বিদ্যুতের নতুন সংযোগে বাংলাদেশের অবস্থান তলানিতেই রয়েছে বলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ১০০ স্কোরের মধ্যে বাংলাদেশের অর্জন মাত্র ১৬ দশমিক ১৭ পয়েন্ট। এ কাজে ৯টি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। সময় লাগে ৪২৯ দিন। নতুন সংযোগ পেতে নাগরিকদের মাথাপিছু আয়ের প্রায় ২৮ গুণ অর্থ ব্যয় করতে হয়।