সেকেন্ডারি শেয়ারবাজারে লেনদেনের প্রথম দিনেই বাজিমাত করল ফরচুন সুজ। আইপিওতে শেয়ারটি অভিহিত মূল্য ১০ টাকা দরে বিক্রি হলেও দুই শেয়ারবাজারে লেনদেনের প্রথম দিনে দর উঠেছে ৬২ টাকায়। আইপিও ইস্যু মূল্যের তুলনায় ৫২০ শতাংশ বেড়ে কেনাবেচা হয়েছে শেয়ারটি। প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে সর্বশেষ লেনদেন মূল্য ছিল ৫৯ টাকা ৭০ পয়সা ও সর্বনিম্ন ৪০ টাকা ১০ পয়সা। চট্টগ্রামের শেয়ারবাজার সিএসইতে কেনাবেচা হয়েছে সাড়ে ৫৮ টাকায়। এ বাজারে সর্বনিম্ন লেনদেন মূল্য ছিল ৪০ টাকা ২০ পয়সা।
প্রথম দিনে ছয় গুণ বেশি দরে কেনাবেচা হলেও আইপিওতে বিক্রি করা শেয়ারের ৫৩ শতাংশ কেনাবেচা হয়েছে ডিএসইতে ও সিএসইতে। উভয় বাজারে মোট ১ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার ৭০৯টি শেয়ার কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ডিএসইতে ৯৫ লাখ ১৬ হাজার ৪৩১টি শেয়ার (ব্লক ট্রেডসহ) কেনাবেচা হয়েছে ৪৮ কোটি ৭০ লাখ টাকায়। সিএসইতে ২২ লাখ ৩৪ হাজার ২৭৮টি শেয়ার কেনাবেচা হয় ১১ কোটি ৩৯ লাখ টাকায়।
এদিকে লেনদেনের প্রথম দিনে স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ১ জুন ২০১৫ থেকে ৩১ মে ২০১৬ সময়ে কোম্পানিটির আইপিও পরবর্তী শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ১০ পয়সা। আইপিও শেয়ার বাদে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৪২ পয়সা। বরিশালভিত্তিক জুতা তৈরির কোম্পানি ফরচুন সুজ আইপিও প্রক্রিয়ায় ২ কোটি ২০ লাখ শেয়ার বিক্রি করে ২২ কোটি টাকার মূলধন উত্তোলন করে। এ শেয়ার কিনতে বিনিয়োগকারীদের আবেদন ছিল ৪২ গুণ বেশি।