দেশের ১৭৫ পোশাক কারখানায় এখনো তিন ধরনের নিরাপত্তাঝুঁকি রয়ে গেছে। অসংশোধিত এসব ঝুঁকি পোশাকশ্রমিকদের জন্য মারাত্মকভাবে বিপজ্জনক। ‘শ্রমিকদের নিরাপত্তায় বিপজ্জনক বিলম্ব’ নামে আন্তর্জাতিক চার শ্রম সংগঠনের এক প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে। অবশ্য প্রতিবেদনের অনেক জায়গায় মিথ্যা ও অতিরঞ্জিত তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে এমন দাবি করেছে অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি ইন বাংলাদেশ। গত সপ্তাহে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরপরই বিবৃতি দেয় উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের এই জোট। এটি ইস্যু করেন অ্যালায়েন্সের বোর্ড চেয়ার অ্যালেন ও’কেন টশার।
বিবৃতিতে বলা হয়, অ্যালায়েন্স বাংলাদেশের পোশাক কারখানার মান উন্নয়নে শক্তিশালী ভূমিকা রেখেছে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ১৩ লাখ পোশাকশ্রমিকের কর্মক্ষেত্র অ্যালায়েন্স গঠনের আগের চেয়ে অনেক নিরাপদ করতে পারায় জোটটি গর্ববোধ করে। আন্তর্জাতিক চার শ্রম সংগঠন নিজেদের প্রতিবেদনে যেসব কারখানার চিত্র তুলে ধরেছে, সেগুলো ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ডেরও সদস্য। অ্যালায়েন্স দাবি করেছে, অ্যাকর্ডের প্রকৌশলী ও নেতাদের সঙ্গে তাদের মাসিক বৈঠক হয়। তবে প্রতিবেদনে যেসব ইস্যু তোলা হয়েছে, অ্যাকর্ড কখনো সেসব নিয়ে অভিযোগ করেনি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কর্মপরিবেশ উন্নয়নকাজ খুবই চ্যালেঞ্জিং ও জটিল। ধারণা করা হচ্ছে, বৃহৎ পরিসরে সংস্কারকাজ ২০১৮ সালে শেষ হবে। সংস্কারকাজ দ্রুত এগিয়ে নিতে অ্যালায়েন্সের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ইন্টারন্যাশনাল লেবার রাইটস ফোরাম, ওয়ার্কার রাইটস কনসোর্টিয়াম, ক্লিন ক্লথ ক্যাম্পেইন ও ম্যাকুলিয়া সলিডারিটি নেটওয়ার্ক গত সপ্তাহে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। বিষয়টি নিয়ে গত রোববার প্রথম আলোর বাণিজ্য পাতায় ‘বড় পাঁচ ব্র্যান্ডের পোশাক কারখানায় নিরাপত্তাঝুঁকি’ নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।