আপাতত পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর কোনও সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেছে, ‘তিন বছর আগে ২০১৩ সালে ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের মাধ্যমে পোশাকখাতে মজুরি বাড়ানো হয়েছে। ওই ঘোষণার পাঁচ বছর পূর্ণ হলে আবার মজুরি বাড়ানোর জন্য বোর্ড গঠন করা হবে।’
মঙ্গলবার সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে শিল্প খাতের ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা জনান শ্রম প্রতিমন্ত্রী। সম্প্রতি পোশাকখাতে শ্রমঅসন্তোষ সম্পর্কে মুজিবুল হক বলেন, ‘মজুরি বাড়ানোর জন্য আনুষ্ঠানিক কোনও প্রস্তাবও দেয়া হয়নি। ৫৩০টি ট্রেড ইউনিয়ন এবং ৪৩টি ফেডারেশন দেশে চালু আছে। তাদের কারও কাছ থেকে কোনও আবেদন জানানো হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কারা শ্রমিকদের আন্দোলনে উসকানি দিয়েছে—তার রহস্য উদঘাটনে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে।’ বাড়িভাড়া বৃদ্ধি সংক্রান্ত শ্রমিকদের অভিযোগ সম্পর্কে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আশুলিয়ার স্থানীয় সংসদ সদস্যের নেতৃত্বে ওই এলাকায় বাড়িভাড়া না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি অঞ্চলভিত্তিক সিদ্ধান্ত, এটা সারাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়।’
বৈঠক সংশ্লিষ্টরা জানান, শ্রমঅসন্তোষ নিরসনে মন্ত্রণালয়ের বিলম্বিত উদ্যোগ নিয়ে সমালোচনা করেন শ্রমিক নেতারা। ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কোর কমিটির বৈঠক আরও বাড়ানোও পরামর্শ দেওয়া হয় শ্রমিক নেতাদের পক্ষ থেকে। এ ছাড়া পোশাক খাতে এ মুহূর্তে কত শ্রমিক সংগঠন রয়েছে, নিবন্ধনবিহীন কত সংগঠন কার্যক্রম চালাচ্ছে তার তালিকা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শ্রমিকদের নেতাদের মধ্যে জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, জাতীয় শ্রমিক-কর্মচারি লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি প্রমুখ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে সিরাজুল ইসলাম রনি সমকালকে বলেন, ‘বৈঠকে পোশাকখাত নিয়ে কাজ করা বিদেশি এনজিওগুলোর কার্যক্রমে মনিটরিং জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া তাদের অর্থের উৎস এবং ব্যবহারের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’