যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত বাণিজ্য সুবিধার বিষয়টি বিবেচনার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনকে নতুন করে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি ওয়াশিংটন ডিসিতে রিপাবলিকানদলীয় সিনেটর রজার উইকারের সঙ্গে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এ আহ্বান জানান। তিনি মার্কিন বাজারে স্বল্পোন্নত সব দেশের পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য মার্কিন সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। খবর বাসস।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে সিনেটর রজার উইকার আন্তরিকতার সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য শোনেন ও ব্রিফিংয়ের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন বলে আশ্বাস দেন। মার্কিন এ কংগ্রেসম্যানের সিনিয়র লেজিসলেটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট জোসেফ লাই ও বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (রাজনৈতিক) তৌফিক হাসান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমানে ৪৮টি স্বল্পোন্নত দেশের মধ্যে ৩৪টি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পায়, যার সবগুলোই আফ্রিকায় অবস্থিত। এ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অন্য স্বল্পোন্নত দেশগুলো (যার অধিকাংশই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থিত) নিজেদের বঞ্চিত মনে করছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ন্যায্য পদক্ষেপ কামনা করে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য পণ্য রফতানির মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার ক্ষেত্রে মার্কিন সরকারের শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক হবে। তিনি জানান, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে বর্তমানে প্রায় ৪০ লাখ নারী কর্মী কাজ করছেন। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে তা দারিদ্র্য বিমোচন ও চরমপন্থা দমনে অবদানের মাধ্যমে বাংলাদেশে সমাজ পরিবর্তনে নারীর ক্ষমতায়নে সহায়ক হবে।
চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স নীতির উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও অন্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সন্ত্রাস প্রতিরোধে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।