জানুয়ারি মাসে বেড়েছে রপ্তানি আয়। ২০১৭ সালের প্রথম মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি আয় বেড়েছে ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এ মাসে আয় হয়েছে প্রায় ৩৩১ কোটি মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের জানুয়ারির তুলনায় প্রায় ১৩ কোটি ডলার বেশি। তবে জানুয়ারিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ৭৬ শতাংশ কম এসেছে রপ্তানি আয়।
সার্বিকভাবে চলতি অর্থবছরের সাত মাসে রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক, অর্থাৎ বেড়েছে। এ সময়ে আয় হয়েছে প্রায় ২ হাজার ১১ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ বেশি। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে আয় হয়েছিল ১ হাজার ৯২৬ কোটি ডলার। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আজ সোমবার রপ্তানি আয়ের এ হিসাব প্রকাশ করেছে।
তবে অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি রপ্তানি আয়ে। এই সময়ে রপ্তানি আয়ে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ১০৪ কোটি ডলার। অর্থাৎ ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ কম হয়েছে আয়।
পণ্য রপ্তানি আয় কমার মধ্য দিয়ে শেষ হয় গেল বছর। গত ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় হয় প্রায় ৩১১ কোটি মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৯ কোটি ডলার কম। সেই হিসাবে বছরের প্রথম মাসে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে রপ্তানি আয়ে।
রপ্তানি আয়-সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক খাতে (ওভেন ও নিট মিলিয়ে) ২০১৬-১৭ অর্থবছরের (জুলাই থেকে জানুয়ারি) সাত মাসে ৪ দশমিক ১৪ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ওভেনের চেয়ে নিট পোশাকে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির হার বেশি।
নিট ও ওভেন মিলিয়ে এ সময়ে ১ হাজার ৬৪১ কোটি মার্কিন ডলারের রপ্তানি আয় করেছে বাংলাদেশ। এ সময়ে উভয় খাত মিলিয়ে ১ হাজার ৭২৭ কোটি ডলারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে সামগ্রিকভাবে তৈরি পোশাক খাতের আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম।
বড় খাতের মধ্যে আলোচ্য সময়ে চামড়া ও চামড়াজাত, পাট ও পাটজাত, চিংড়ি রপ্তানিতে আয় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এই সাত মাসে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। পাট ও পাটজাত পণ্যে প্রায় ১৪ ও চিংড়িতে প্রায় আড়াই শতাংশ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ ছাড়া কৃষিপণ্য রপ্তানিতে ১ দশমিক ৯১, প্লাস্টিক পণ্যে ৪৫, রাসায়নিক পণ্যে ১৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
তবে এই সাত মাসে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে হালকা প্রকৌশল, জাহাজ নির্মাণ, পেট্রোলিয়ামের উপজাত খাতে রপ্তানি আয় কমেছে। হালকা প্রকৌশল খাতে রপ্তানি আয় ১০ দশমিক ৭৮, জাহাজ নির্মাণ খাতে ২৭, পেট্রোলিয়ামের উপজাতে ২৮ শতাংশ কমেছে।