উৎপাদন পুনরায় বাড়লেও আগামী মৌসুমে তুলার বৈশ্বিক মজুদ কমতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কটন অ্যাডভাইজরি কমিটি (আইসিএসি)। এর পরিপ্রেক্ষিতে পণ্যটি মজুদে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে গত বৃহস্পতিবার তুলার দাম ২০১৪ সালের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে।
নিউইয়র্কের আইসিই ফিউচার্সে আগামী মার্চে সরবরাহের জন্য প্রতি পাউন্ড তুলা বৃহস্পতিবার লেনদেন হয় সর্বোচ্চ ৭৭ দশমিক ৩৫ সেন্টে। এ দর ২০১৪ সালের জুনের পর সবচেয়ে বেশি। আইসিএসি সম্প্রতি ২০১৭-১৮ মৌসুমের জন্য তুলা সরবরাহ ও চাহিদা-সংক্রান্ত প্রথম পূর্বাভাস প্রকাশ করেছে। চলতি বছরের আগস্টে শুরু হতে যাচ্ছে নতুন মৌসুম। আইসিএসির পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী মৌসুমে তুলার মজুদ তৃতীয়বারের মতো কমবে। এ সময় বিশ্বব্যাপী পণ্যটির মজুদ দাঁড়াবে ১ কোটি ৭১ লাখ ৩০ হাজার টন, যা ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। তবে উৎপাদন বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে কমিটি। আগামী মৌসুমে বিশ্বজুড়ে তুলা আবাদে জমির পরিমাণ এবারের তুলনায় ৫ শতাংশ বেড়ে পৌঁছবে ৩ কোটি ৬ লাখ হেক্টরে। বিশ্বের শীর্ষ তুলা উৎপাদনকারী দেশ ভারতে এর আবাদ চলতি মৌসুমের তুলনায় ৭ শতাংশ বেড়ে ১ কোটি ১২ লাখ হেক্টরে উন্নীত হবে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আইসিএসি। তুলার স্থানীয় মূল্যবৃদ্ধিতেই ভারতীয় চাষীরা আগ্রহী হচ্ছেন এর উৎপাদনে।
ভারতের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রেও ২০১৭-১৮ মৌসুমে তুলা উৎপাদন বাড়বে। কমিটির তথ্যানুযায়ী, এ সময় দেশটিতে পণ্যটির উৎপাদন ৪ শতাংশ বেড়ে ঠেকবে ৪০ লাখ টনে। এ সময় ৪২ লাখ হেক্টরে এর আবাদের সম্ভাবনা রয়েছে। এ হার চলতি মৌসুমের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি।
চীনে আগামী মৌসুমে মজুদ কমবে বলে ধারণা আইসিএসির। বিশ্বে তুলার শীর্ষ ভোক্তা দেশটি এ সময় ১ কোটি ৭১ লাখ ৩০ হাজার টন পণ্য মজুদে সক্ষম হবে। এ পরিমাণ তুলার সর্বোচ্চ মুজদ থেকে ৫০ লাখ টনের মতো কম। তিন বছর আগে দেশটিতে তুলার মজুদ রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছিল। চীন ৯৩ লাখ টন তুলা মজুদে নিয়ে চলতি মৌসুম শেষ করবে বলে জানিয়েছে আইসিএসি।