Home বাংলা নিউজ লিবার্টি ফ্যাশন ওয়্যারস খুলে দেওয়ার দাবি

লিবার্টি ফ্যাশন ওয়্যারস খুলে দেওয়ার দাবি

প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে বন্ধ থাকা সাভারের লিবার্টি ফ্যাশন ওয়্যারস নামের পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক। তিনি বলেছেন, যুক্তরাজ্যভিত্তিক খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান টেসকো ঝুঁকিপূর্ণ আখ্যা দিয়ে অন্যায়ভাবে কারখানাটি বন্ধ করেছে।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে গতকাল সোমবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন লিবার্টির চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক। একই সঙ্গে তিনি কারখানাটির বৈদ্যুতিক, অগ্নি ও কাঠামোগত অবস্থা পরিদর্শন করতে ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ডের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমার কারখানা ভবন নতুন ও পরিষ্কার।’ তাঁর দাবি, অন্যায়ভাবে কারখানা বন্ধ করে দেওয়ায় বছরে ৩৫০ কোটি টাকার পোশাক রপ্তানি বন্ধ আছে। চাকরি হারিয়েছেন পাঁচ হাজার শ্রমিক। ব্যাংকঋণ আটকে গেছে।

২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের পরের মাসে টেসকোর প্রকৌশলী সংস্থা মিডওয়ে কনসালট্যান্সি সার্ভিসকে (এমসিএস) দিয়ে লিবার্টির কারখানা ভবন নিরীক্ষা করায়। কারখানা পরিদর্শন করে এমসিএস প্রতিবেদন দিয়ে বলেছিল, ‘কারখানার ২ নম্বর ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ। ৬০ ঘণ্টার মধ্যেই ধসে পড়বে।’ এর পরপরই টেকসোর কর্তৃপক্ষ লিবার্টি থেকে পোশাক না কেনার ঘোষণা দেয়। একই সঙ্গে অন্য ১১ ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানকে বিষয়টি ই-মেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেয় টেসকো। তখন ওই সব ক্রেতাও লিবার্টির ক্রয়াদেশ বাতিল করে।

মোজাম্মেল হক জানান, বুয়েট ও বিজিএমইএর প্রকৌশলী এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডিআইএফই) নিয়োগকৃত প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান পৃথকভাবে কারখানা ভবনটি পরিদর্শন করে ঝুঁকিমুক্ত বলেছে। তিনি বলেন, গত বছর দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হলেও কারখানার কোনো সমস্যা হয়নি।

জানা যায়, টেসকো অ্যাকর্ডের সদস্য। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বিজিএমইএ লিবার্টিতে নতুন করে পরিদর্শন কার্যক্রম চালাতে অ্যাকর্ডের কর্মকর্তাদের অনুরোধ করে। তবে অ্যাকর্ড তা আমলে নেয়নি। তাদের যুক্তি, টেসকো তার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে লিবার্টির নাম সুপারিশ করেনি। তাই তাদের কিছু করার নেই। এরপর অ্যাকর্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করে লিবার্টি কর্তৃপক্ষ। মামলার রায় লিবার্টির পক্ষে গেলেও অ্যাকর্ড কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন মোজাম্মেল হক।

জানতে চাইলে বিজিএমইএর সহসভাপতি মাহমুদ হাসান খান গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আশা করব, রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি পাওয়ার পর লিবার্টির কারখানা পরিদর্শনের উদ্যোগ নেবে অ্যাকর্ড কর্তৃপক্ষ।’