Home বাংলা নিউজ আরো সাত কারখানার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে অ্যালায়েন্স

আরো সাত কারখানার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে অ্যালায়েন্স

alliance

উত্তর আমেরিকাভিত্তিক ক্রেতাদের সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানা পরিদর্শন জোট অ্যালায়েন্স আরো সাতটি কারখানার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে। কারখানা সংস্কারে সন্তোষজনক অগ্রগতি না হওয়া এবং কারখানার নিরাপত্তা পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক মানদন্ডে উন্নীত না হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এলায়েন্স। বাংলাদেশের গার্মেন্টস কারখানার সংস্কার কাজ তদারকি করে ওয়েবসাইটে গতকাল হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে অ্যালায়েন্স। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অ্যালায়েন্স অধিভুক্ত আরো ছয়টি কারখানা তাদের সংশোধনী কর্ম পরিকল্পনায় (ক্যাপ) উল্লিখিত সমস্ত মেরামত কাজ সম্পন্ন করেছে, যার ফলে সংস্কার কাজ সম্পন্নকারী কারখানার মোট সংখ্যা দাঁড়াল ৬৬টি। অন্য দিকে, সংস্কার কাজকে অগ্রাধিকার প্রদানে ব্যর্থ কারখানার ব্যাপারে অ্যালায়েন্স আপস না করার সিদ্ধান্তে অবিচল রয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে আরো সাতটি নতুন কারখানার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে অ্যালায়েন্স। সবমিলিয়ে স্থগিত কারখানার মোট সংখ্যা দাড়াল ১৩৪টি। এই কারখানাগুলোর তালিকা অ্যালায়েন্সের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

কারখানার সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেছে এমন ছয়টি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে অ্যালায়েন্সের এদেশীয় পরিচালক জিম মরিয়ার্টি উল্লেখ করেছেন, সংস্কার কাজকে অগ্রাধিকার দেওয়ায় এই ছয়টি কারখানা প্রশংসার দাবিদার, এবং এর মাধ্যমে এই কারখানাগুলো একটি উন্নত মানসম্পন্ন নিরাপদ কর্মপরিবেশ অর্জন করল। কারখানাগুলো হলো এনভয় ডিজাইন লিমিটেড, এনভয় ফ্যাশন লিমিটেড, কেনপার্ক বাংলাদেশ (প্রাইভেট) লিমিটেড, মানতা অ্যাপারেল লিমিটেড, মোহরা এশিয়ান অ্যাপারেলস লিমিটেড এবং ইয়াংগুন (সিইপিজেড) লিমিটেড (এক্সটেনশন বিল্ডিং)। কারখানাগুলো যখন অব্যাহত উন্নয়নে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয় তখন বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে ব্যাপক পরিবর্তন সম্ভাবনা থেকে বাস্তবে পরিণত হয় বলেও উল্লেখ করেন মরিয়ার্টি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে গার্মেন্টস কারখানার সংস্কার কাজ তদারকির লক্ষ্যে তিন বছর আগে কার্যক্রম শুরু করে অ্যালায়েন্স ফর ওয়ার্কার্স সেফটি ইন বাংলাদেশ বা অ্যালায়েন্স। ইতিমধ্যে তাদের অর্ডার সরবরাহ করে এমন প্রায় ৭০০ কারখানা পরিদর্শন শেষে সংস্কার কাজ তদারক করছে। কারখানা অগ্নি, ভবনের কাঠামো ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তার লক্ষ্যে যে সংস্কারের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে তা সঠিকভাবে করা হচ্ছে কি না সে বিষয়ে অ্যালায়েন্স তত্ত্বাবধান করছে।