বন্ড সুবিধার অপব্যবহারের অভিযোগে গাজীপুরের একটি তৈরি পোশাক কারখানার অনুমোদনবিহীন গুদাম থেকে ১৯০ টন উন্নত মানের কাপড় আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। গাজীপুরের মেসার্স মেরিডিয়ান গ্লোবাল ইন্টারন্যাশনাল নামের প্রতিষ্ঠান থেকে জব্দ করা ওই কাপড়ের দাম প্রায় ১০ কোটি টাকা। খোলা বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে ওই কাপড় অননুমোদিত স্থানে গুদামজাত করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র সদস্য। এর মালিকানা দুই জন পাকিস্তানি নাগরিক আশফাক আলী ও আমজাদ পারভেজ এবং সৌদি নাগরিক আব্বাস আব্দুল্লাহ আল হোসাইকী। শুরু থেকে বিভিন্ন অনিয়মসহ বন্ড লাইসেন্সের শর্ত লঙ্ঘন করে বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।
প্রতিষ্ঠানটি চীন, পাকিস্তান, ভারতসহ কয়েকটি দেশ থেকে উন্নতমানের পলিয়েস্টার ফেব্রিক্স বিনা শুল্কে আমদানি করে। আমদানিকৃত এসব কাপড় দিয়ে হাসপাতালের ইউনিফর্ম তৈরি করে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রপ্তানির কথা। কিন্তু সেগুলো খোলা বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে ব্যক্তিমালিকানাধীন একটি গুদামে অবৈধভাবে মজুদ করার অভিযোগ ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুরের কাথোরার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোখলেছুর রহমানের মালিকানাধীন গুদামে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অভিযান চালিয়ে এসব কাপড় উদ্ধার করা হয়। আটক কাপড়ের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য পাঁচ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এতে শুল্ক-করের পরিমাণ চার কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
ঢাকা বন্ড কমিশনারেট থেকে সংগৃহীত তথ্যাদি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বন্ড লাইসেন্সে কারখানাটির অবস্থান গাজীপুর সদরের ছয়দানায় মালেকের বাড়ি এলাকায়। কিন্তু অনুমোদন না নিয়েই কারখানাটি গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কমার্শিয়াল ম্যানেজার সোহাগ মিয়া অবৈধ মজুদের কথা স্বীকার করে একটি বিবৃতিও দিয়েছেন।