তৈরি পোশাক বিশ্ব বাজারের ৬ শতাংশ শেয়ার দখল করে শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। ভবিষ্যতে এই অবস্থান আরও বাড়বে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের ব্যবসাভিত্তিক গণমাধ্যম ‘বিজনেস ওয়্যার’ এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, তৈরি পোশাকের বিশ্ব বাজারে রফতানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশ ২৮ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি করেছে। এক্ষেত্রে তার আগের বছরগুলোর চেয়ে প্রবৃদ্ধি বেশি হয়েছে প্রায় ১০ দশমিক ২১ শতাংশ। মূলত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, উৎপাদন বৃদ্ধি, উদ্যোক্তাদের নিরলস চেষ্টা, কারখানা শ্রমিকদের কর্মপরিবেশের মান উন্নয়নসহ বেশ কয়েকটি ইতিবাচক কারণে পোশাক খাতে রফতানি প্রবৃদ্ধি বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান বিশ্বের বস্ত্র বাজারের প্রায় ৬ শতাংশ পোশাকই সরবরাহ করে থাকে বাংলাদেশ। ২০০৩ সালে প্রতিবেশী দেশ ভারতকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রফতানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে পৌঁছে। ভবিষ্যতেও পোশাক রফতানির এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ ডেনিম উৎপাদনকারী দেশ হিসেবেও পরিচিতি লাভ করবে বলে উল্লেখ করে ‘বিজনেস ওয়্যার’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের সর্ববৃহৎ ডেনিম (জিন্স) উৎপাদনকারী দেশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ, কারণ প্রতিবছর এদেশে যে পরিমাণ ডেনিম উৎপাদন হয় তার রফতানি মূল্য প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার। দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশে দিন দিন ডেনিমের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ব বাজারে শীর্ষ স্থান দখল করাই হচ্ছে বর্তমানে বাংলাদেশের উদ্দেশ্য। ধারণা করা যায়, ২০২১ সালের মধ্যে ডেনিমের বিশ্ব বাজারের ১০ দশমিক ০৮ শতাংশ শেয়ার বাংলাদেশের দখলে যাবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইউ) ডেনিম বাজারের ২৩ শতাংশ সরবরাহ করে সবচেয়ে বড় রফতানিকারক দেশ হিসেবে বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে মেক্সিকো ও চীনের পর ১১ দশমিক ৩ শতাংশ মার্কেট শেয়ার দখল করে রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। বিনিয়োগও বাড়ানো হচ্ছে এ খাতে। বর্তমানে ডেনিম খাতের বিনিয়োগ ২০১৫ সালের ৯০০ মিলিয়ন ডলারকে অতিক্রম করেছে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শীর্ষ পোশাক উৎপাদনকারী কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করে বলা হয়, প্রতিবছর প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের পোশাক রফতানি করে বিশ্বে শীর্ষ উৎপাদনকারীর তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। শীর্ষ দশ উৎপাদনকারীর তালিকায় রয়েছে হা-মীম গ্রুপ, বেক্সিমকো ফ্যাশন ও স্কয়ার ফ্যাশন। তারা পণ্যে বিভিন্ন বৈচিত্র্য এনে প্রতিযোগিতার মার্কেটে শীর্ষে অবস্থান করেছে।