পোশাক খাতের মতো অ্যাক্সেসরিজ শিল্পে কমপ্লায়েন্স প্রতিপালনে চাপ দিচ্ছেন ক্রেতারা। অ্যাক্সেসরিজ কারখানায় অগি্ন, বৈদ্যুতিক ও ভবনের নিরাপত্তা দুর্বলতার কারণে বিদেশি ক্রেতারা তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত এসব পণ্য ব্যবহার না করে আমদানির শর্ত দিচ্ছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাক্সেসরিজ খাতের সার্বিক কমপ্লায়েন্স উন্নয়নে অগি্ননিরাপত্তা সরঞ্জাম আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা চান এ খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন গার্মেন্ট অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ)।
আগামী বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অনুরোধ জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি আবদুল কাদের খান। গত বৃহস্পতিবার এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের কাজে এক চিঠিতে এটিসহ আরও বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
বিজিএপিএমইএর অন্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, সব রফতানি খাতের মতো এক্সেসরিজ শিল্পকেও নগদ সহায়তার আওতায় আনা, উৎসে কর বিদ্যমান শূন্য দশমিক ৭ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ৫ করা ও করপোরেট কর ৩৫ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা। এছাড়া এক্সেসরিজ খাতে দক্ষ জনবল তৈরিতে একটি প্যাকেজিং ইনস্টিটিউট স্থাপনে বাজেটে বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, অ্যাক্সেসরিজ কারখানাকে ঝুঁকিমুক্ত এবং পরিবেশবান্ধব করতে ক্রেতারা ক্রমাগত চাপ দিচ্ছেন। অন্যান্য সব যন্ত্রপাতির সঙ্গে বিশেষ করে অগি্ন প্রতিরোধক রঙ (ফায়ার প্রুফ পেইন্ট) ব্যবহারে বেশি চাপ দিচ্ছেন ক্রেতারা। শুল্ক, ভ্যাটসহ আমদানি ব্যয় এখন মোট মূল্যের দ্বিগুণে দাঁড়ায়। এতে অনেক কারখানার পক্ষেই এ শর্ত প্রতিপালন সম্ভব হচ্ছে না। জানতে চাইলে বিজিপিএমইএ সভাপতি আবুদল কাদের খান বলেন, ফায়ার প্রুফ পেইন্টের এক কেজির দাম পড়ে এক হাজার টাকা। প্রতি ফুট দেয়াল রঙ করতে ব্যয় হয় ৩০০ টাকা। গড়ে ১ লাখ ফুটের একটি ভবন রঙ করতে ব্যয় হয় ৩ কোটি টাকা। এটা খুবই অসাধ্য ব্যয়। শুল্ক এবং ভ্যাট প্রত্যাহার করা হলে এ ব্যয় সহনীয় হয়ে আসবে।