আশুলিয়ায় শ্রম অসন্তোষের পরিপ্রেক্ষিতে উদভুত ঘটনায় অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এ অবস্থায় স্বাভাবিক কর্মপরিবেশের স্বার্থে সমপ্রতি মালিকপক্ষ, শ্রমিক ও সরকারের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা হয়েছে। ওই সমঝোতা অনুযায়ী শ্রমিকদের কিছু দাবির বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাবের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই সমঝোতা চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশে উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্স ফর ওয়ার্কার্স সেফটি। সেই সঙ্গে এটিও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে, যে কোন বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে শ্র্রমিকরা কাজ করতে অস্বীকার করতে পারবে বলে অ্যালায়েন্সভুক্ত কোম্পানিগুলো চুক্তিবদ্ধ । মূলত আশুলিয়ার সামপ্রতিক শ্রমিকদের কর্মবিরতিকে ইঙ্গিত করে এবং এ বিষয়ে প্রচ্ছন্ন সমর্থনের অংশ হিসেবে এ বক্তব্য দেয়া হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাসির ইত্তেফাককে বলেন, আশুলিয়ায় কোন বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় নি, যে কারনে সেখানে শ্রমিকরা কর্মবিরতি করতে হবে। তারা হঠাত্ করেই মজুরি বাড়ানোর দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করে। এবং সেটি দিনের পর দিন চলতে থাকে। এর পর ২৬ তারিখ কারখানা খুলে দেয়ার পর এখন পর্যন্ত সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে কাজ চলছে।
অ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকার মত নুন্যতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আশুলিয়ায় শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকার কারনে বহু সংখ্যক শ্রমিকনেতাকে গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এই ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পর এই চুক্তি সম্পাদিত হয়। চুক্তিতে শ্রমিক অধিকার এবং আইনের শাসনের প্রতি অঙ্গীকারে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। চুক্তিতে সকল পক্ষই আটক ব্যক্তিদের মুক্তি, বন্ধ অফিস পুনরায় খোলা এবং আন্দোলনে অংশগ্রহনকারি চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের মজুরি প্রদান অথবা তাদের পুনরায় কাজে নিয়োগদানের দাবিতে ঐক্যমত পোষণ করেন। স্বাক্ষরকারী সকলেই মালিকপক্ষ এবং শ্রমিকদের ভেতর শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে পোশাক কারখানারগুলোর ভেতর টেকসই সম্পর্ক নিশ্চিতকরণে অঙ্গীকার করেন । বাংলাদেশে অ্যালায়েন্সের পরিচালক জিম মরিয়ার্টি বলেন, সকল পক্ষকে আহবান করছি ভবিষ্যতেও যেন যে কোনো অনিষ্পন্ন বিষয় এবং মতানৈক্য ঠিক একইভাবে আলোচনার টেবিলে বসে বাংলাদেশের আইন অনুসারে নিষ্পত্তি করা হয়।