পোশাক খাতের বিভিন্ন সরঞ্জাম এবং পোশাকসহ অন্য খাতের মোড়ক পণ্য রপ্তানিতে উৎসে কর হ্রাস করলে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়বে বলে মনে করছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ)। এ জন্য আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে উৎসে কর দশমিক ৭০ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৫০ শতাংশ এবং তা চূড়ান্ত দায় হিসেবে নিষ্পত্তির দাবি করেছে সংগঠনটি।
পোশাক খাতের বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম এবং পোশাকসহ অন্য খাতের মোড়ক পণ্য উৎপাদনে দেশ এখন স্বাবলম্বী। গত অর্থবছর এই খাতটি প্রায় ৬১০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। বর্তমানে কার্টন, পলিব্যাগ, হ্যাঙ্গার, বোতাম, লেবেল, জিপার, হ্যাংট্যাগ, গাম টেপসহ পোশাক খাতের ৩০-৩৫ ধরনের সরঞ্জাম এবং অন্যান্য খাতের মোড়ক তৈরি করে এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো। বিজিএপিএমইএর সদস্যসংখ্যা ১ হাজার ৫৪৫।
আগামী বাজেটে প্রাতিষ্ঠানিক বা করপোরেট কর ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার দাবি করেছে সংগঠনটি। এ বিষয়ে তাদের যুক্তি, চলতি অর্থবছরের বাজেটে রপ্তানিমুখী ওভেন ও নিট পোশাক কারখানার করপোরেট কর কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। তবে পোশাক খাতের সংযোগশিল্প হিসেবে সরঞ্জাম ও মোড়ক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে আগের মতোই বেশি কর দিতে হচ্ছে।
পোশাক কারখানার পাশাপাশি সংযোগশিল্পের কারখানাগুলোর কর্মপরিবেশ নিরাপদ করার জন্য অগ্নিপ্রতিরোধক দরজা (ফায়ার ডোর), স্প্রিং কলারসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এ জন্য ৫ শতাংশ হারে আমদানি শুল্ক দিতে হয়। বিজিএপিএমইএর দাবি, আমদানি শুল্ক কমানো গেলে ব্যবসায়ীরা তাদের কারখানার নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে আরও উদ্যোগী হবেন।
প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে হলে পণ্যের গুণমান উন্নত করার কোনো বিকল্প নাই। এ জন্য দক্ষ জনবল সৃষ্টির কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু দক্ষ জনবল সৃষ্টির জন্য দেশে কোনো ইনস্টিটিউট নেই। এ জন্য আগামী বাজেটে ইনস্টিটিউট করার জন্য বিশেষ বরাদ্দ দাবি করেছে সংগঠনটি।
এ ছাড়া ইস্পাতের কারখানা ভবনের অগ্নিপ্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহৃত বিশেষ রং আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দাবি করেছে বিজিএপিএমইএ।