দেশের তৈরি পোশাক খাতে ডিজাইনার ও বিশেষজ্ঞ হিসেবে হাজারের বেশি বিদেশি কর্মরত আছেন। এ খাতে প্রতিবছর শত শত কোটি টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে। আগামী পাঁচ বছর এ খাতে আর কোনো বিদেশির প্রয়োজন হবে না। বিজিএমইএ প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে এখন শত শত প্রশিক্ষিত তরুণ মার্চেন্ডাইজার এবং ফ্যাশন ডিজাইনার বের হয়ে এই সেক্টরে প্রবেশ করছে। ফলে এ খাতে বিদেশি নির্ভরতাও কমে আসছে।
গতকাল বিজিএমইএ, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চিটাগং বিজিএমইএ ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির (সিবিআইএফটি) এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ নেতারা এ কথা বলেন। প্রতিষ্ঠানের চার বছর পূর্তি ও প্রথম ব্যাচের পাসিং আউট উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। অ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচার অ্যান্ড টেকনোলজি (এএমটি) ও ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি (এফডিটি) কোর্সের ২৬ শিক্ষার্থীর পাসিং আউট অনুষ্ঠিত হবে আগামী শনিবার।
সিবিআইএফটি পরিচালনা পরিষদের সভাপতি নাছির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আগামীতে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বিজিএমইএ ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, দক্ষ ফ্যাকাল্টি নিশ্চিত করেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুরু করব। ’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিবিআইএফটি থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে বর্তমানে তাঁরা চট্টগ্রামের সাতটি প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্ন হিসেবে করছেন। এরই মধ্যে তাঁদের চাকরি নিশ্চিত হয়েছে। সনদ পাওয়ার পর থেকেই চাকরিতে যোগদান করবেন।
তিনি জানান, ৩৪ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে যাত্রা শুরু করে সিবিআইএফটি। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে দুটি কোর্সে ৩৫০ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছেন। প্রথম ব্যাচের ২৬ শিক্ষার্থী সফলভাবে তাঁদের কোর্স সম্পন্ন করেছেন। আগামী শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ তাঁদের হাতে সনদ তুলে দেবেন।
তিনি বলেন, ‘ঢাকার বিজিএমইএ বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিবিআইএফটি থেকে প্রশিক্ষিত শিক্ষার্থীরা বের হলে আগামী পাঁচ বছরে গার্মেন্ট সেক্টরে আর বিদেশি এক্সপার্ট থাকবে না। পাঁচ বছর আগেও চার থেকে পাঁচ হাজার বিদেশি ছিল গার্মেন্ট খাতে। এখন তা হাজারের মধ্যে নেমে এসেছে। এতে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রার সাশ্রয় হচ্ছে। ’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বিজিএমইএ-এর সাবেক সহসভাপতি এরশাদ উল্লাহ, বর্তমান সহসভাপতি মোহাম্মদ ফেরদৌস, পরিচালক মোহাম্মদ সাইফ উল্লাহ মনসুর, পরিচালনা পরিষদের সদস্য হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এস এম চৌধুরী সেলিম, হাসানুজ্জামান চৌধুরী, ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুল মান্নান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।