চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে (জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৯২ কোটি ৭১ লাখ মার্কিন ডলার বা ৭ হাজার ৪১৬ কোটি টাকার পোশাক রপ্তানি করেছেন বাংলাদেশের পোশাকশিল্প মালিকেরা। এই আয় গত বছরের একই সময়ের ৯৮ কোটি ২৭ লাখ ডলারের চেয়ে ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ কম।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (অটেক্সা) বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক আমদানির হালনাগাদ যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে, তা থেকে এমন তথ্য জানা গেছে। এতে দেখা যায়, বছরের প্রথম দুই মাসে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশ থেকে ১ হাজার ৩১০ কোটি ডলারের পোশাক কিনেছে। পরিমাণটি গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ কম। তার মানে, গত বছরের চেয়ে এবার কম পোশাক কিনেছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান।
অটেক্সার তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শীর্ষ পাঁচ পোশাক রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে কেবল ভিয়েতনামের রপ্তানি বেড়েছে। এ ছাড়া বাকি চার দেশ চীন, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া ও ভারতের পোশাক রপ্তানি কমেছে। এর মধ্যে রপ্তানি কমার ক্ষেত্রে সবার চেয়ে এগিয়ে আছে চীন।
বছরের প্রথম দুই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৪৩৭ কোটি ৫৯ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে চীন। এটি গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ কম। যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি করা মোট পোশাকের ৩৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ চীন থেকে গেছে। এই বাজারে গত বছর চীন ২ হাজার ৭৯২ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছিল। এখানে দীর্ঘদিন ধরেই চীন সর্বোচ্চ পোশাক রপ্তানিকারক।
যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভিয়েতনাম চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে ১৯৫ কোটি ৫০ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি করে। এটি গত বছরের প্রথম দুই মাসের চেয়ে ৪ শতাংশ বেশি। তৃতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি করা মোট পোশাকের ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ বাংলাদেশ থেকে গেছে।
চতুর্থ অবস্থানে থাকা ইন্দোনেশিয়া গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ৮১ কোটি ৪৮ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। তাদের প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক, ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে পঞ্চম সর্বোচ্চ পোশাক রপ্তানি করেছে ভারত। আলোচ্য সময়ে তারা ৬৬ কোটি ৩৫ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি করে। এটি গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ শতাংশ কম। তাদের বাজার হিস্যার পরিমাণ সাড়ে ৪ শতাংশ।