যথাসময়ে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করতে না পারা ও সহযোগিতা না করার অভিযোগে আরো ১০টি কারখানার সঙ্গে ব্যবসা বাতিল করেছে অ্যালায়েন্স। ফলে উত্তর আমেরিকার অ্যালায়েন্সভুক্ত বেশিরভাগ বড় ব্র্যান্ডের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবে না এসব গার্মেন্টস কারখানা। গত এপ্রিল ও চলতি মাসে এসব কারখানার সঙ্গে ব্যবসা বাতিলের ঘোষণা দেয় উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের সমন্বয়ে গঠিত এ জোট। ফলে অ্যালায়েন্সভুক্ত ক্রেতাদের সঙ্গে এ পর্যন্ত ব্যবসা বাতিল হওয়া কারখানার সংখ্যা দাঁড়ালো ১৪৯টি। সমপ্রতি অ্যালায়েন্সের ওয়েবসাইটে এ বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
অ্যালায়েন্সের ওয়েবসাইটে বলা হয়, নিরাপদ কর্মপরিবেশের কারখানা থেকে পণ্য ক্রয় এবং অনিরাপদ কারখানার সঙ্গে ব্যবসা না করার অঙ্গীকার রয়েছে অ্যালায়েন্সের সদস্যভুক্ত ক্রেতাদের।
ব্যবসা বাতিল হওয়া এসব কারখানা হলো সাভারের দ্য ক্লথ এন্ড ফ্যাশন, মানিকগঞ্জের বিউটিফুল জ্যাকেটস, গাবতলীর বান্দো অ্যাপারেলস, চট্টগ্রামের মেস্ট্রো অ্যাপারেলস, ওয়াই বি গার্মেন্টস, তারিক আজিম টেক্সটাইল, ইস্টার্ন ড্রেসেস, টঙ্গির মাস্কো প্রিন্টিং এন্ড এমব্রয়ডারি, মিরপুরের স্টার্টিং নিটওয়্যার ও গাজীপুরের রূপা ফেব্রিক্স।
২০১৩ সালে রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় শত শত শ্রমিকের প্রাণহানির পর বাংলাদেশের গার্মেন্টস কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনের লক্ষ্যে গঠিত হয় অ্যালায়েন্স। অ্যালায়েন্সের সদস্যভুক্ত ব্র্যান্ডদের কাছে রপ্তানি করে – এমন প্রায় ছয়শ’ কারখানা পরিদর্শন শেষে এখন সংস্কার কাজ তদারক করা হচ্ছে। সংস্কারে পিছিয়ে থাকা, যোগাযোগ না করা ও যথাযথ সহযোগিতার অভাবে ইতিমধ্যে প্রায় দেড়শ’ কারখানার সঙ্গে ব্যবসা বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অ্যালায়েন্স ছাড়াও ইউরোপের ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ডও কারখানার সংস্কার কাজ দেখভাল করছে। ওই জোটের আওতাভুক্ত কারখানার সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। অ্যাকর্ড এখন পর্যন্ত ৭১টি কারখানার সঙ্গে ব্যবসা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে।