বর্তমান বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে পোশাকশিল্পে কমপ্লায়েন্সের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি মঈনুদ্দিন আহমেদ মিন্টু। তিনি বলেন, ‘বর্তমান পোশাকশিল্পের বিশ্বব্যাপী বাজার প্রায় ৪৪৫ বিলিয়ন ডলারের, যা ২০২০ সালে বেড়ে ৬০০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে। কিন্তু এই বাজারে আমাদের দখল মাত্র ৬ শতাংশের। তাই আমাদের সামনে অনেক সুযোগ রয়েছে। ’
গত শনিবার বিকেলে বিজিএমইএর আঞ্চলিক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে মঈনুদ্দিন আহমেদ মিন্টু এই মন্তব্য করেন। বিজিএমইএ ও ডাব্লিউআরএপি যৌথভাবে ‘বেস্ট প্র্যাকটিস ইন দি আরএমজি ইন্ডাস্ট্রি : সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স এসএন ইন্টারন্যাশনাল কমপিটিটিভ অ্যাডভানটেজ’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডাব্লিউআরএপির সভাপতি ও সিইও আভেদিস সেফেরিয়ান এবং ডাব্লিউআরএপি বাংলাদেশের অপারেশন ম্যানেজার কামরুন নাহার।
মঈনুদ্দিন আহমেদ মিন্টু বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে সম্ভাবনার পাশাপাশি শঙ্কাও রয়েছে। রানা প্লাজা পরবর্তী অ্যাকর্ড, অ্যালায়েন্স ও আইএলওর পরিদর্শনসহ নানা কারণে এরই মধ্যে এক হাজার ২৫০টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। তবে আমরা এ অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে চাই। ’
আভেদিস সেফেরিয়ান বলেন, ‘ডাব্লিউআরএপি দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের মান উন্নয়নে কাজ করে আসছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটেও ডাব্লিউআরএপি সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। ’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিজিএমইএর পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, কাজী মাহাবুব উদ্দিন জুয়েল, আমজাদ হোসেন চৌধুরী, গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের মালিক, এইচআর ও কমপ্লায়েন্স সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।