আগামী বছরের জুনে বাংলাদেশের গার্মেন্ট কারখানার সংস্কারকাজ তদারকির সময়সীমা শেষ হচ্ছে বিদেশি ক্রেতাদের দুটি জোট অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের। এর পরও তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া নিয়ে বর্তমানে সরব আলোচনা হচ্ছে। এমন আলোচনার মধ্যেই গতকাল শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ‘আমরা চাই না মেয়াদ শেষে অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স বাংলাদেশে থাকুক। ’ গতকাল রবিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সোনারগাঁও হোটেলে সমন্বয় সেলের (আরসিসি) কার্যক্রম শুরু উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মুজিবুল হক আরো বলেন, ‘আমাদের দেশে অভিজ্ঞ ও দক্ষ প্রকৌশলী ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন জনবল রয়েছে। আমরাই সংস্কারকাজের বাদবাকি কার্যক্রম দেখভাল করতে পারব। এ জন্য রেমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেল (আরসিসি) গঠন করা হয়েছে। তারা চাইলে আরসিসির সদস্য হিসেবে থাকতে পারে। এ প্রক্রিয়ায় আমরা তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই। আলাদাভাবে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের কার্যক্রম চালানোর প্রয়োজন নেই। ’
২০১৩ সালে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর ওই বছরই অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স বাংলাদেশে তাদের সদস্যভুক্ত ব্র্যান্ড ও ক্রেতাদের অর্ডার সরবরাহ করে, এমন কারখানার নিরাপত্তাব্যবস্থা পরীক্ষা শুরু করে। ওই সময় থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর বাংলাদেশে এসব কারখানা ভবনের কাঠামো, অগ্নি নিরাপত্তা ও বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা সংস্কার কার্যক্রম তদারক করতে তারা চুক্তিবদ্ধ। অবশ্য আলোচ্য সময়ের মধ্যে সব কারখানার সংস্কার শেষ নাও হতে পারে। এরই মধ্যে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স কী প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশে থাকতে পারে তা নিয়ে আলোচনা চলছিল। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল তাদের না থাকার পক্ষে মত দিলেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী। অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের বাইরে প্রায় দেড় হাজার কারখানার সংস্কারকাজ তদারক করা হচ্ছে ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভ বা সরকারি উদ্যোগে। এতে সহযোগিতা করছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বা আইএলও। ওই উদ্যোগের আওতাধীন কারখানার সংস্কারকাজ দেখভাল করবে আরসিসি। এতে যুক্ত থাকবে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, রাজউক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও গণপূর্ত অধিদপ্তর। এ সংস্কারকাজ তদারক করতে বেসরকারি খাতের প্রকৌশলীদের সহায়তা নেওয়া হবে।