পোশাক খাতের চলমান সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে চায় সরকার। এ জন্য কিছুটা কঠোর হচ্ছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডিআইএফই)। জাতীয় কর্মপরিকল্পনার অধীনে (এনপিএ) থাকা কারখানাগুলোর সংস্কারে এবার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আগামী এপ্রিলের মধ্যে সংস্কার কাজ শেষ না হলে সংশ্লিষ্ট কারখানার লাইসেন্স বাতিল করা হবে। একই সঙ্গে কাঁচামাল আমদানির অনুমতি ইউটিলাইজেশন ডিক্লারেশন (ইউডি) বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ জন্য এরই মধ্যে বিজিএমইএকে অনুরোধ করেছে সংস্থাটি। চট্টগ্রাম অঞ্চলের কারখানা মালিকদের সঙ্গে দু’দিনব্যাপী মতবিনিময় সভায় সরকারের পক্ষ থেকে এ বার্তা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের মালিকদের সঙ্গে পরবর্তী বৈঠকেও একই বার্তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিআইএফইর কর্মকর্তারা। আজ মঙ্গলবার থেকে টানা তিন দিন ঢাকা অঞ্চলের মালিকদের সঙ্গে পরবর্তী বিজিএমইএ কার্যালয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ ও ১৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। কয়েকটি সভায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু উপস্থিত থাকতে পারেন বলে সূত্র জানিয়েছে। এনপিএর আওতায় এক হাজার ৬০০ কারখানার সংস্কার কার্যক্রম ডিআইএফইএর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। পোশাক খাতের বাকি কারখানাগুলোর সংস্কার চলছে দুই ক্রেতাজোট ইউরোপের অ্যাকর্ড ও আমেরিকার অ্যালায়েন্সের তত্ত্বাবধানে। দুই জোটে কারখানার সংখ্যা দুই হাজার ২০০। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর পোশাক খাতের সংস্কার নতুন করে এসব দেশি-বিদেশি উদ্যোগে শুরু হয়।
সংস্কারে আগ্রহ কম চট্টগ্রাম অঞ্চলের মালিকদের : বড় অঙ্কের বাড়তি ব্যয় ও কারখানা ভবনে মালিকানা জটিলতায় সংস্কারে আগ্রহ কম চট্টগ্রাম অঞ্চলের মালিক কর্তৃপক্ষের। এ ছাড়া ব্যয় অনুযায়ী পোশাকের দর পাওয়া নিয়ে শঙ্কা আছে তাদের। চট্টগ্রামের বিজিএমইএ কার্যালয়ে ডিআইএফইএর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ অঞ্চলের ৯৮ পোশাক কারখানার মালিক নিজেরাই এ কথা তুলে ধরেছেন। তবে যে কোনো মূল্যে আগামী এপ্রিলের মধ্যে সব ধরনের সংস্কার কাজ শেষ করতে বলেছেন ডিআইএফইর কর্মকর্তারা। মালিকদের পক্ষ থেকে সংস্কার পরিকল্পনা (ক্যাপ) সংক্রান্ত বিভিন্ন কারিগরি সমস্যা সমাধানে আন্তরিক সেবা দেওয়ার জন্যও কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক সামসুজ্জামান ভূঁইয়া।