Home Bangla Recent শক্তিশালী বস্ত্র ও পোশাক খাত তৈরীতে কাজ করছে সরকার

শক্তিশালী বস্ত্র ও পোশাক খাত তৈরীতে কাজ করছে সরকার

apparel factories
Garment employees work in a sewing section of the Fakhruddin Textile Mills Limited in Gazipur, Bangladesh, where one million garment workers were fired or temporarily let go when fashion brands cancelled orders at the height of last year's coronavirus pandemic lockdowns

বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেছেন, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা সক্ষম শক্তিশালী বস্ত্র ও পোশাকখাত তৈরীতে কাজ করছে সরকার। উৎপাদনশীলতা, কর্মসংস্থান, রপ্তানি ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব বস্ত্র ও পোশাক খাত বিকশিত করে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বস্ত্র নীতি-২০১৭’ এ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে গঠিত উপদেষ্টা কমিটির প্রথম বৈঠকে তিনি এ সব কথা বলেন।

মির্জা আজম বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বস্ত্রখাতের অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জন করতে হলে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং এর স্টেকহোল্ডারগণ যেমন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, বিটিটিএলএমইএ এবং বিজিএএমপিআইএ-কে নিবিড়ভাবে একসাথে কাজ করতে হবে। ‘বস্ত্র আইন-২০১৭’ মন্ত্রী সভায় অনুমোদিত হয়েছে। আশা করা যায়, আগামী সংসদ অধিবেশনে আইনটি জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা সম্ভব হবে। এছাড়াও দেশের বস্ত্র খাতকে আরো প্রতিযোগিতা সক্ষম ও দক্ষ ভাবে গড়ে তোলার জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সবধরনের সেবা দিতে প্রস্তুত।

সভায় বস্ত্রপণ্যের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ এবং মধ্য ও উচ্চ মূল্য সংযোজিত রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে প্রাথমিক বস্ত্রশিল্পের অধিকতর উন্নয়ন,বস্ত্র উপখাতের জাতীয় অগ্রাধিকার ভিত্তিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, দেশের বস্ত্রখাতে উৎপাদিত পণ্য সর্বাধিক প্রাধিকারপ্রাপ্ত শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা, মোস্ট ফেভারর্ড ন্যাশনাল স্টাটাস এর স্বীকৃতি আদায়, বস্ত্রখাতের বিভিন্ন উপখাতে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ,পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে কারখানাসমূহে ইএফটি স্থাপনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং প্রতিষ্ঠানসমূহ কর্তৃক বিদ্যমান পরিবেশ আইন ও পরিবেশ বিধিমালা অনুসরণ, টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক প্রতিষ্ঠাকরণ, বস্ত্র ও পোশাকখাতে বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং তৈরি পোশাকের রপ্তানিবাজার সম্প্রসারণ, রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট কর্মকান্ড জোরদারকরণ এবং বাজার পরিসংখ্যান সম্পর্কিত তথ্য ব্যবস্থাপনা সুদৃঢ়করণ, বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে দেশীয় বস্ত্রের প্রদর্শনী এবং মিউজিয়াম স্থাপন, বিদেশি ক্রেতা আকৃষ্টকরণের জন্য বৈদেশিক বিনিয়োগ, বস্ত্রশিল্পের প্রচার ও প্রসারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বস্ত্র খাত থেকে রফতানী আয় ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নিত করতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বিরাষ্ট্রিয়করনের মাধ্যমে বেসরকারি খাতে দিয়ে দেয়া অনেক বস্ত্রকল বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। বেসরকারি খাতে দেয়ার সময় যেসব শর্ত দেয়া হয়েছিল সেসব শর্ত ভঙ্গকারীদের থেকে বস্ত্রকল আবার ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। এসব বস্ত্রকল যেসব জমির উপর প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীরা চাইলে পিপিপি (পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ) এর মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের মধ্যে লিজ দেয়া হবে। দেশে বস্ত্রখাতে দক্ষ জনবল তৈরীর জন্য প্রতিটি বৃহত্তম জেলায় একটি করে টেক্সটাইল কলেজ এবং প্রতিটি জেলায় একটি করে ভকেশনাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট নির্মান করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য ‘বস্ত্র নীতি-২০১৭’ অনুযায়ী বস্ত্র ও পোষাকখাতে পরিকল্পিত শিল্পায়নে শিল্পোদ্যোক্তাদের শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠা ও কার্যকরভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়ন ও সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে উপদেষ্টা কমিটি গঠিত হয়। এ কমিটি ন্যূনপক্ষে ষান্মাসিক ভিত্তিতে সভায় মিলিত হবেন এবং বস্ত্র নীতি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়ন এবং ক্ষেত্রমতে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত ও ব্যবস্থা গ্রহন করবে।

সভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভণর এস কে সুর চৌধুরী, বস্ত্র পরিদপ্তরের পরিচালক ইসমাইল হোসেন, বিটিএমসির চোরম্যান বিগ্রে. জে.মাহবুব আহমেদ জাকারিয়া, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, এফবিসিসিআই, বিটিএমএ, বিকেএমইএ ও বিটিটিএলএমইএ এর প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here