শ্রমিকদের হয়রানির অভিযোগে কিউ পয়েন্ট ফ্যাশন্স নামে একটি কারখানার উচ্চ পদস্থ একজন কর্মকর্তাকে পাকড়াও করেছে শ্রমিক ও শ্রমিক নেতারা। মোস্তাফিজুর রহমান নামে ওই কর্মকর্তাকে রাজধানীর মিরপুর থেকে আটক করে কাওরানবাজারে বিজিএমইএ ভবনে আনা হয়। পরে কারখানার মালিক সৈয়দ এইচ আর দারা সোহেল বিজিএমইএতে উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের আশ্বাস দেওয়ার পর কর্মকর্তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সাভারের হেমায়েতপুরে অবস্থিত ওই কারখানায় শ্রমিকরা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ করে আসছিলেন কয়েকদিন ধরে। সমপ্রতি শ্রমিকরা ট্রেড ইউনিয়নের জন্য আবেদন করলে বেশকিছু শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করা হয় বলেও অভিযোগ উঠে। ইস্যুটি নিয়ে তারা গত সোমবার বিজিএমইএ’র সামনে অবস্থান কর্মসূচীও পালন করে। ওই কর্মসূচীতে মোস্তাফিজুর রহমান ছাড়াও উত্পাদন বিভাগের কর্মকর্তা বাবু হাওলাদারের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের হয়রানি করার অভিযোগ তোলা হয়।
গতকাল সকালে মিরপুর থেকে কারখানায় যাওয়ার প্রাক্কালে ওই কর্মকর্তাকে শ্রমিকরা আটক করে বিজিএমইএ ভবনে নিয়ে আসে। শ্রমিকদের আন্দোলনে নেত্বদানকারী গ্রীন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি সুলতানা বেগম ইত্তেফাককে বলেন, ওই কর্মকর্তা শ্রমিকদের নির্যাতন করেছেন। ট্রেড ইউনিয়নের জন্য আবেদন করায় কারখানা কর্তৃপক্ষ ২১১ জনকে চাকরিচ্যুত করেছে। শ্রমিকদের পাওনা আটকে রাখা হয়েছে। এজন্য তাকে আটক করা হয়েছে। আটক করার পর সমঝোতার জন্য কারখানা মালিক বিজিএমইএতে এসে পাওনা পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছেন। অবশ্য বেশিরভাগ শ্রমিক ওই কারখানায় আর কাজ করতে রাজি নন।
অবশ্য কারখানা মালিক সৈয়দ এইচ আর দারা সোহেল তাদের বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। ইত্তেফাককে তিনি বলেন, একজন শ্রমিককেও চাকরিচ্যুত করা হয়নি। কারখানাটি গত এপ্রিলে ঢাকার মিরপুর থেকে সাভারের হেমায়েতপুরে স্থানান্তর করা হয়েছে। গতকালের বিজিএমইএ’র বৈঠকেও তারা আমাদের বিরুদ্ধে বাস্তবসম্মত কোন অভিযোগ আনতে পারেন নি। তবুও যারা চাকরি করতে চাইবে না, আইন অনুযায়ী তাদের পাওনা পরিশোধ করা হবে। কর্মকর্তাকে পাকড়াও করে শ্রমিকরা অন্যায় করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবুও তাদের বিরুদ্ধে মামলা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।