আগামী পাঁচ বছর বিশ্বের তৈরি পোশাক ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে থাকবে বাংলাদেশ। অর্থাত্ পোশাক সরবরাহের ক্ষেত্রে সার্বিক বিচারে এখনো এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান ম্যাকেঞ্জির এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।বিশ্বের ৬৩টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ডের শীর্ষ ক্রয় কর্মকর্তাদের (সিপিও) উপর এ জরিপ চালানো হয়। এসব ব্র্যান্ড সব মিলিয়ে ১৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক ক্রয় করে থাকে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৪৯ শতাংশ বাংলাদেশকেই এগিয়ে রাখছেন। অবশ্য এর আগে ২০১৫ সালে ম্যাকেঞ্জির পরিচালিত এক জরিপেও বাংলাদেশ শীর্ষস্থানে ছিল।জরিপে বাংলাদেশের পরেই রয়েছে আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া। আগামী ৫ বছরে উদীয়মান সরবরাহকারী হিসেবে আবির্ভূত হবে বলে মনে করেন ৪৩ শতাংশ। এর পরে রয়েছে মিয়ানমার ৩৭ শতাংশ, ভিয়েতনাম ৩৫ শতাংশ ও ভারত ২২ শতাংশ।বর্তমানে গার্মেন্টস রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম। আর প্রথম অবস্থানে রয়েছে চীন। চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে রপ্তানির অঙ্কে বিশাল ফারাক। ২০১৬ সালে বিশ্বব্যাপী চীন ১৭৭ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, আর বাংলাদেশ করেছে ২৮ বিলিয়নের কিছু বেশি। এছাড়া ভিয়েতনাম রপ্তানি করেছে ২৫ বিলিয়ন ডলারের।জরিপে বলা হয়, চীন শীর্ষে থাকলেও ধীরে ধীরে তাদের পোশাক রপ্তানি কমতির দিকে। ২০১৪ সালে দেশটির পোশাক রপ্তানি ছিল ২০৭ বিলিয়ন ডলার। আর গত বছর তাদের রপ্তানির পরিমাণ ২০১২ সালের চাইতেও কম। সেই বিবেচনায় বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের প্রবৃদ্ধি ভালো। তবে গত পাঁচ বছরের বিবেচনায় সবচেয়ে ভালো প্রবৃদ্ধি ভিয়েতনামের। পাঁচ বছরে দেশটির প্রবৃদ্ধি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ভালো হলেও সর্বশেষ গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে বড় ধরনের ধাক্কা এসেছে। আলোচ্য সময়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে এক শতাংশেরও কম, মাত্র শূন্য দশমিক ২০ (০.২০) শতাংশ। অবশ্য গত দুই মাসে প্রবৃদ্ধি ১৪ শতাংশ হয়েছে।জরিপে বলা হয়, কাঁচামালের দর, শ্রমিকের মজুরি, মুদ্রার বিনিময় হার, বিভিন্ন চুক্তির পরিবর্তন, কর্মপরিবেশের (কমপ্লায়েন্স) জন্য ব্যয়, ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতা, পরিবহন ব্যবস্থা এবং অর্থায়নের খরচ ইত্যাদি বিষয় গার্মেন্টস ব্যবসায় প্রভাব ফেলবে।
গার্মেন্টসে বাংলাদেশই পছন্দের শীর্ষে থাকছে ক্রেতাদের
আগামী ৫ বছরের জন্য ম্যাকেঞ্জির জরিপ