বাংলাদেশে আমেরিকাভিত্তিক ক্রেতাদের কারখানা পরিদর্শন জোট অ্যালায়েন্সের কার্যক্রমের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছর। মেয়াদ শেষে তাদের আওতাধীন প্রায় ৬০০ কারখানার সংস্কার কার্যক্রম স্বচ্ছতার সঙ্গে চলমান থাকা নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছে না তারা। এ বিষয়ে স্বাধীন, স্বচ্ছ ও শক্তিশালী কারখানা পরিদর্শন কাঠামো গঠনের তাগিদ দীর্ঘদিনের। তৈরি পোশাক শিল্পমালিকদের প্রস্তুতি কিংবা আন্তরিকতার বিষয়টি নিশ্চিত হতে চায় তারা। এজন্য দ্রুত আনুষ্ঠানিকভাবে কারখানা পরিদর্শন কাঠামো জানতে চেয়েছে এ জোট। গতকাল রাজধানীর কারওয়ানবাজারে বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে অ্যালায়েন্সের প্রধান জিম মরিয়ার্টি। বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ছাড়াও সংগঠনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক সূত্র জানায়, আগামী বছর বাংলাদেশে অ্যালায়েন্সের কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর তাদের আওতাভুক্ত কারখানার সংস্কারে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা সুনির্দিষ্টভাবে জানতে চাওয়া হয়েছে।
বিজিএমইএ জানিয়েছে, আগামী বছর শেষে সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে নিতে স্বতন্ত্র এবং শক্তিশালী একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে চান তারা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এই প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রম তদারক করবে। এই কার্যক্রমকে স্বচ্ছ ও স্বাধীন করতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও, পোশাক খাতের কয়েকটি ব্র্র্যান্ড, দেশি-বিদেশি শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি রাখা হবে। এ বিষয়ে অ্যালায়েন্সের মতামত চেয়েছেন বিজিএমইএ নেতারা। এ বিষয়ে একটি রূপরেখা তৈরি করেছে বিজিএমইএ। আজকালের মধ্যে তা আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যালায়েন্সের কাছে পাঠানো হবে। এটি পাওয়ার পর অ্যালায়েন্স এ বিষয়ে তাদের মতামত ও পরামর্শ দেবে বলেও জানা গেছে। বৈঠক শেষে বিজিএমইএ সহ-সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু সাংবাদিকদের বলেন, মেয়াদ শেষে কারখানার সংস্কারকাজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে স্বাধীন ও স্বচ্ছ কাঠামো চায় অ্যালায়েন্স। এ বিষয়ে আমাদের কৌশল জানতে চাওয়া হয়েছে। আমরা আলাদা প্ল্যাটফর্মের কথা তাদের জানিয়েছি। নতুন করে কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন লোকবল প্রয়োজন হলে সেজন্যও প্রস্তুত আছি।