তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর নতুন ভবন হবে ২৫ তলার। ভবনে আন্তর্জাতিক মানের সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে পোশাক খাতের গবেষণা ও উম্নয়ন, প্রদর্শনী কেন্দ্র, ক্রেতা এবং বৈঠক উপযোগী হল, সুইমিংপুল, অ্যাপারেল ক্লাব ইত্যাদি।
বিদেশি কয়েকটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পরামর্শ শেষে ম্যাকডোনাল্ড নামে একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। উঁচু ভবন নির্মাণ উপযোগী মাটির মান পরীক্ষা করা হয়েছে মাস দুয়েক আগেই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মূল নির্মাণকাজ শুরু হবে।
জানা গেছে, ২৫ তলা ভবনের প্রতি ফ্লোর হবে ১০ হাজার বর্গফুটের। বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান সমকালকে বলেন, সংগঠনের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে নতুন ভবন বিশ্বমানের হবে। এটি দৃষ্টিনন্দন করে নির্মাণ করা হবে।
সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসান বলেন, পোশাক খাতের ১ নম্বর রফতানিকারক দেশ হওয়ার লক্ষ্যে গবেষণা ও উম্নয়ন. বাজার গবেষণা, বিপণন কৌশল ও নেটওয়ার্কিংয়ে গুরুত্ব বাড়াতে চান তারা। নতুন ভবনটি এসবের উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে।
বিজিএমইএর সহসভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু জানান, আপাতত কাজ চালিয়ে নেওয়ার মতো স্টিলের ছয়তলার ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিজিএমইএ। সরাসরি মূল ভবন নির্মাণ করা হবে।
সংগঠনের নেতারা আশা করছেন, দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে এই পোশাকশিল্পের অবদান এবং এই শিল্পের নির্বিঘ্ন সরবরাহ কাঠামো বিবেচনায় তাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে ভবন নির্মাণের জন্য এক বছর সময় আদালতের কাছে পাওয়া যাবে।
উত্তরায় তৃতীয় প্রকল্পে ১৭ নম্বর সেক্টরে পাঁচ বিঘা জমি বরাদ্দ পেয়েছে বিজিএমইএ। প্রকৃত দামের চেয়ে অর্ধেক দামে সরকার এ জমি বরাদ্দ দিয়েছে। এর প্রাথমিক নকশা অনুমোদনের জন্য রাজধানী উম্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
নতুন ভবন নির্মাণ পর্যন্ত আরও এক বছর বর্তমান ভবনে থাকার অনুমতি চেয়ে গত ২৪ আগস্ট আদালতে আবেদন করেছে বিজিএমইএ। আগামী ৫ অক্টোবর এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। এর আগেও রাজধানীর হাতিরঝিলের ১৫ তলা ভবনটি ভেঙে ফেলতে আদালতের কাছে তিন বছর সময় চেয়ে আবেদন করে বিজিএমইএ। গত ৫ মার্চের ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ মার্চ ছয় মাস সময় মঞ্জুর করেন আদালত। আদালতের বেঁধে দেওয়া ছয় মাসের সময়সীমা শেষ হয়েছে গত ১১ সেপ্টেম্বর।
সাংগঠনিক কাজকর্মের বাইরে উৎপাদন ও রফতানি প্রক্রিয়ার অনেক কাজ হয় বিজিএমইএ ভবন থেকেই। এর মধ্যে রফতানি আদেশ পাওয়ার পর পোশাক উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ব্যবহারের অনুমতি, কাঁচামাল ব্যবহারের ঘোষণা বা ইউডি ইস্যু, শুল্ক্কমুক্ত রফতানি সুবিধা পাওয়ার জন্য জিএসপি ফরম ইস্যু, মেশিনারিজ আমদানির প্রত্যয়নপত্র জারি ও রফতানিতে নগদ সহায়তা পাওয়ার প্রক্রিয়ায় সহায়তার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে।