বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলোকে গ্রিন ফ্যাক্টরিতে রূপান্তর করা হচ্ছে। একের পর এক গ্রিন ফ্যাক্টরি নির্মাণ করা হচ্ছে কিন্তু ক্রেতারা পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করছে না। তৈরি পোশাকের মূল্যবৃদ্ধি করা প্রয়োজন। ক্রেতাদের এ বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত। গতকাল ঢাকায় হোটেল রেডিসন ব্লু-তে ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) আয়োজিত টুওয়ার্ডস সাসটেইনেবল টেক্সটাইল শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রফতানির জন্য আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বিপুল অর্থ বিনিয়োগে দেশের সব তৈরি পোশাক কারখানাকে নিরাপদ ও কর্মবান্ধব করা হয়েছে। বিল্ডিং ও ফাযার সেফটি নিশ্চিত করা হয়েছে। শ্রমিকদের নিরাপত্তা, সুযোগ-সুবিধা ও উপযুক্ত বেতন নিশ্চিত করা হয়েছে। ২০৮টি তৈরি পোশাক কারাখানাকে পর্যায়ক্রমে গ্রিন ফ্যাক্টরি করা হচ্ছে। গ্রিন ফ্যাক্টরি নির্মাণে সরকার ব্যবসায়ীদের আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। এক্ষেত্রে কর ৩৫ ভাগ থেকে কমিয়ে ১০ ভাগ করা হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ গত অর্থ বছর প্রায় ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য এবং ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সেবা রফতানি করেছে। এর মধ্যে প্রায় ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এসেছে তৈরি পোশাক রফতানি করে। এ শিল্পে প্রায় ৪৫ লাখ শ্রমিক কাজ করছে, যার ৮০ ভাগই নারী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পকে স্থায়ী ও শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন পার্টনারশিপ ফর ক্লিনার টেক্সটাইল (প্যাক্ট)-এর মাধ্যমে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। প্রথম পর্বে দেশের দুই শতাধিক তৈরি পোশাক কারখানায় প্রতি বছর ২১.৬ বিলিয়ন লিটার পানি এবং ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ বাঁচাতে সহায়তা করেছে। দ্বিতীয় পর্বে অস্ট্রেলিয়া সরকারের সহায়তায় স্পিনিং থেকে শুরু করে উত্পাদনের শেষ পর্যায় পর্যন্ত টেক্সটাইল ভ্যালু চেইনের সঙ্গে কাজ করছে।
ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশনের কান্ট্রি ম্যানেজার মিসেস ওয়েন্ডি ওয়ার্নারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান এবং আইএফসির পদস্থ কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে পার্টনারশিপ ফর ক্লিনার টেক্সটাইল (প্যাক্ট) এবং বিজিএমইএর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।