অ্যাকর্ডের মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন উচ্চ আদালত। গতকাল বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন।
জানা গেছে, গত বুধবার গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের পক্ষে সংগঠনের সভাপতি লিমা ফেরদৌস নতুন করে অ্যাকর্ডের কার্যক্রমের মেয়াদ বাড়ানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী শেখ ফজলে নূর তাপস, মেহেদী হাসান চৌধুরী ও ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আইনজীবী ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বণিক বার্তাকে বলেন, সরকারের অনুমতি ছাড়া অ্যাকর্ডের মেয়াদ বাড়িয়ে করা চুক্তি ‘অ্যাকর্ড ২০১৮’ বাস্তবায়ন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং সরকারের অনুমতি ছাড়া অ্যাকর্ড যেন কোনো নীতিনির্ধারণ না করে সেই মর্মে কেন অ্যার্কডকে নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। তিন বছরের মেয়াদ বাড়ানোসংক্রান্ত ‘অ্যাকর্ড-২০১৮’ চুক্তির বাস্তবায়ন আগামী বছরের ১৫ মে পর্যন্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। শ্রম সচিব ও অ্যাকর্ডসহ পাঁচ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, দেশের তৈরি পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ মূল্যায়নে গত চার বছর ধরে পরিদর্শন কর্মসূচিতে নিয়োজিত আছে ইউরোপভিত্তিক ক্রেতা ও শ্রমিক সংগঠন জোট অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ। ২০১৮ সালের জুন মাসে জোটটির কর্মসূচির পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। সম্প্রতি এক বছর বাকি থাকতেই মেয়াদ আরো তিন বছর বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে জোটটি। তবে জোটটির এ সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন উচ্চ আদালত।
রানা প্লাজা ধসের পর পোশাক শিল্পের কর্মপরিবেশ উন্নয়নে পাঁচ বছরের জন্য ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড ও উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্স গঠিত হয়। উভয় জোটের মেয়াদ আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে শেষ হবে। অ্যালায়েন্স এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের পর কার্যক্রম গোটাতে সর্বোচ্চ ছয় মাস সময় নেবে তারা। তবে গত জুনে অ্যাকর্ড ঘোষণা দিয়েছে, ২০২১ সালের ৩১ মে পর্যন্ত কার্যক্রম চালাবে তারা।