শ্রমিক সংকট বাংলাদেশের পোশাক খাতের উম্নয়নে অন্যতম বড় বাধা। বিভিম্ন কারণে শ্রমিকরা ঘন ঘন কারখানা বদল করছেন। অনেক শ্রমিক মাঝপথে কাজ ছেড়ে দেন। এ ছাড়া শ্রমিকদের দক্ষতারও ঘাটতি প্রকট। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) এক প্রতিবেদনে পোশাক খাতের এগিয়ে চলার অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে শ্রমিক সংকটের এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্থার ওয়েবসাইটে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, দক্ষতা অর্জন এবং উম্নয়নে কম সুযোগের বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য অনেকটা সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এ সংকট থেকে উত্তরণে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণসহ বিভিম্ন সহযোগিতা দিচ্ছে আইএলও।
প্রতিবেদনে ঢাকার অদূরে অবস্থিত নিট কনসার্ন নামে একটি কারখানার উদাহারণ দিয়ে বলা হয়, ১৫ হাজার শ্রমিকের এ কারখানা থেকে প্রতি মাসে অন্তত তিন থেকে পাঁচজন শ্রমিক অন্যত্র চলে যান। এ প্রবণতা রোধে কারখানার মধ্যেই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সুইডেনভিত্তিক বড় ব্র্যান্ড এইচঅ্যান্ডএম ও সুইডেন সরকারের সহযোগিতায় নিজস্ব সেন্টার অব এক্সিলেন্স কর্মসূচির আওতায় ২০১৫ সাল থেকে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে সহায়তা দিয়ে আসছে আইএলও। বিজিএমইএ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও এ কর্মসূচির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এতে কারখানা কর্তৃপক্ষ ও প্রশিক্ষণ পাওয়া শ্রমিক উভয়পক্ষই লাভবান হচ্ছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীনিবাস রেড্ডিকে উদ্ৃব্দত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ধরনের প্রশিক্ষণে বাংলাদেশের পোশাক খাত এবং শ্রমিকরা উপকৃত হচ্ছেন। এতে মালিকপক্ষ প্রশিক্ষিত ও দক্ষ শ্রম পাচ্ছে। ফলে কারখানার উৎপাদনশীলতা বাড়ছে। অন্যদিকে শ্রমিকরাও দক্ষতা উম্নয়নের মাধ্যমে বেশি আয়ের সুযোগ পাচ্ছেন।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক আশিকুর রহমান তুহিন সমকালকে বলেন, দক্ষ শ্রমিককের অভাব অনেকদিন ধরেই আছে পোশাক শিল্পে। তবে এ সংকট এখন কিছুটা কমে আসছে। কারণ, অনেক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলছে বিভিম্ন মাধ্যমে। শুধু বিজিএমইএ এ মুহূর্তে ১০টি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করছে। গুণগত দিক থেকে এসব কর্মসূচি খুবই কার্যকর। ফলে সংকট এখন আর আগের মতো নেই।