বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বাংলাদেশ থেকে আরো বেশি পোশাক কিনতে চায় ব্রিটিশ ক্রেতা প্রতিষ্ঠান মার্ক অ্যান্ড স্পেন্সার। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করে এমন আভাস দিয়েছে বলে জানান দেশের পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা।
গত বৃহস্পতিবার মার্ক অ্যান্ড স্পেন্সারের চেয়ারম্যান আর্চিনরম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিল ম্যাকডোনাল্ড, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিভ রো, পরিচালক সোসিং মার্ক লিন্ডসেসহ অন্য কর্মকর্তারা ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। মতবিনিময়কালে তাঁরা এ আগ্রহের কথা জানান।
সভায় উপস্থিত সূত্রে জানা যায়, তাঁরা বাংলাদেশের কয়েকটি তৈরি পোশাক কারখানা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় কারখানার কর্মপরিবেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁরা প্রতিবছর ১০০ কোটি ডলার পোশাক কিনতে চান। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রতিষ্ঠানটি ৮০ কোটি ডলারের পোশাক নেয়।
বৈঠকে উপস্থিত এফবিসিসিআই সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন কালের কণ্ঠকে জানান, মার্ক অ্যান্ড স্পেন্সারের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে। তারা আমাদের কারখানা সফর করেছে এবং এখান থেকে পোশাক ক্রয় আরো বাড়াতে চায়। এ প্রসঙ্গে তিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিভ রোর কথা উল্লেখ করে জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রতিষ্ঠানটি ৮০ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করে।
এটা বাড়িয়ে ১০০ কোটি ডলারে নিতে চায়।
বিজিএমইএ সহসভাপতি মোহাম্মদ নাছির কালের কণ্ঠকে বলেন, বিশ্বের পোশাকের বাজার কমতে থাকায় এর প্রভাব পড়েছে বিশ্বখ্যাত ব্রিটিশ পোশাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সারের ওপরও। মুনাফা কমে যাওয়ায় সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে তাদের আউটলেট কমিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে।
তবে সেই পরিকল্পনা থেকে আবারও পিছিয়ে এসেছে। ব্যবসায়িক সুনাম ধরে রাখতে ব্যবসায়িক কৌশলগত পরিকল্পনায় পরিবর্তন এনেছে। তাই আউটলেট না কমিয়ে সাশ্রয়ী এবং উন্নতমানের পোশাক পেতে তারা বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি বাড়াতে চায়।
প্রসঙ্গত, মার্ক অ্যান্ড স্পেন্সার প্রায় ১৩৩ বছরের ব্রিটিশ বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান। ১৮৮৪ সালে এর যাত্রা শুরু হয় যুক্তরাজ্যে। প্রধান পোশাক খাতের রিটেইলার হলেও প্রতিষ্ঠানটি পোশাকের পাশাপাশি উচ্চ মূল্যে খাদ্যপণ্য এবং গৃহস্থালির পণ্যও বিক্রি করে। সহশ্রাধিক আউটলেটে প্রায় ৮৫ হাজার কর্মী কাজ করে।