বিদেশের বাজার আরো বড় করতে চান দেশীয় ফুটওয়্যার শিল্প উদ্যোক্তারা। তবে এখনো আশানুরূপ বিদেশি ক্রেতার আগমন ঘটেনি। অধিকাংশ ক্রেতা ইউরোপের হলেও আমেরিকা-কানাডায় যে ধরনের ফুটওয়্যার চলছে তারা সে ধরনের জুতা তৈরি করছে। ফলে সেখানে নতুন বাজার তৈরি করতে চান দেশীয় ফুটওয়্যার উদ্যোক্তারা।
গতকাল শনিবার শেষ হয়েছে তিন দিনব্যাপী ফুটওয়্যার শিল্পের বড় প্রদর্শনী লেদারটেক শো। এতে অংশ নেয়া দেশীয় কয়েকজন উদ্যোক্তা এমনটা জানিয়েছেন।
রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) গত বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছিল দেশের চামড়াজাত পণ্যের সবচেয়ে বড় আয়োজন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডশো অন লেদার এন্ড ফুটওয়্যার মেশিনারি, কম্পোনেন্টস, কেমিক্যালস এন্ড অ্যাক্সেসরিজ- সংক্ষেপে ‘লেদারটেক শো’র প্রদর্শনী।
প্রদর্শনীতে চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডসহ ১৫টি দেশের ১৭১টি প্রতিষ্ঠান ও শিল্প খাতের সংগঠক, বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। ফুটওয়্যার খাতের অন্যতম রপ্তানিকারক অ্যাপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মনজুর এলাহী এ ব্যাপারে জানিয়েছেন, ইউরোপের বাজারে প্রায় সবার ভালো অবস্থান রয়েছে। এ আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের জুতার কোয়ালিটি সম্পর্কে বিশ্বকে জানানো সম্ভব হয়েছে এবং এ প্রচারণার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী নতুন বাজার তৈরি সম্ভব।
তবে বিদেশের বায়ার বা ক্রেতা ততটা সমাগম হয়নি বলে অতৃপ্তি জানালেন বেঙ্গল সু ইন্ডাস্ট্রিজের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সাদমান সাকিব চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, প্রদশর্নীর উদ্দেশ্য বিদেশের নজর কাড়া। এখানে বিদেশি ক্রেতারা এসে, দেখে অর্ডার দেবেন। কিন্তু দুদিনে তেমন বিদেশি ক্রেতার অর্ডার মেলেনি। আসছে সময়ে বিদেশের প্রদর্শনীগুলোতে অংশ নিতে আগ্রহ জানিয়ে তিনি বলেন, আমেরিকায় যে ধরনের কমফোর্ট জুতা চলে বা উইন্টার স্টেটগুলোতে শীতকালীন জুতার যে চাহিদা তা তৈরিতে আমরা এখন সক্ষম। লেদারটেকের ইভেন্ট পার্টনার আস্ক ট্রেড এন্ড এক্সিবিউশন প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর টিপু সুলতান ভূঁইয়া বলেন, ২০১১ সালে লেদারটেকের প্রথম প্রদর্শনীতে দেশি-বিদেশি মাত্র ৬০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল। কিন্তু এবারের ৫ম আসরে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭১। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে বিশ্বে চামড়াজাত পণ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৈরি হয়েছে।