রপ্তানির সক্ষমতা অর্জনে দেশীয় এক্সেসরিজ খাত পোশাকশিল্পের ৯৫ শতাংশ এক্সেসরিজ জোগান দিচ্ছে। তুলনামূলক কম দাম ও সময় সাশ্রয়ের মাধ্যমে খাতটি পোশাক খাতের লিড টাইমে সহায়তা করছে। এ ছাড়া নিজেদের পণ্য সরাসরি রপ্তানি করছেন খাতটির উদ্যোক্তারা। তবে প্রত্যক্ষ এবং প্রচ্ছন্ন রপ্তানি সত্ত্বেও কোনো রকম প্রণোদনা না থাকা এবং ৩৫ শতাংশ করপোরেট করসহ নানান নীতি প্রতিকূলতায় খাতটি এখন সংকটের মধ্যে রয়েছে।
উদ্যোক্তারা বলছেন, তৈরি পোশাক শিল্পের এক্সেসরিজ খাত এগোতে না পারলে মূল খাত অর্থাৎ পোশাক খাতের রপ্তানিও এগোতে পারবে না। তখন রপ্তানি বাধাগ্রস্ত্ম হবে। তারা বলছেন, প্রতিযোগিতার বিশ্ববাজারে পোশাক রপ্তানিতে লিড টাইম (রপ্তানি আদেশ পাওয়ার পর ক্রেতাদের হাতে পণ্য পৌঁছানো পর্যন্ত্ম সময়) একটা গুরম্নত্বপূর্ণ বিষয়। দেশীয় এক্সেসরিজ খাত এক্ষেত্রে পোশাক খাতকে দারম্নণভাবে সহায়তা করছে। কিন্তু সে অনুপাতে তেমন কোন সহায়তা পায়নি খাতটি।
সম্প্রতি এক সেমিনারে খাত-সংশিস্নষ্ট উদ্যোক্তারা এক্সেসরিজ খাতের নানা সংকটের কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, পোশাক খাত দুর্বল হলে এক্সেসরিজ ক্ষতিগ্রস্ত্ম হবে। আবার এক্সেসরিজ দুর্বল হলে পোশাক খাত ক্ষতিগ্রস্ত্ম হবে। পোশাকশিল্পের আজকের এ অবস্থান তৈরির নেপথ্যে বড় ভূমিকা রয়েছে এক্সেসরিজ শিল্পের। নানা প্রতিকূলতার পরও খাতটি পোশাকশিল্পের প্রয়োজনীয় এক্সেসরিজের ৯৫ শতাংশ যোগান দিচ্ছে। তাই এ খাতের প্রণোদনা দেয়া একটি নায্য দাবি। তখন পোশাক খাতের মতো এ খাতেরও করপোরেট কর ১০-১৫ শতাংশে অর্থাৎ একই হারে নামিয়ে আনার দাবি তোলা হয়। সেই সঙ্গে খাতটির সম্প্রসারণে প্রণোদনার দাবিও তোলা হয়েছে।
জানা গেছে, মূল খাতের রপ্তানির সঙ্গে এক্সেসরিজের বাজার দিন দিন বাড়ছে। মূল খাতের বাইরে রপ্তানির পরিধিও বড় হচ্ছে। বিজিএপিএমইএর হিসাবে শুধু গত অর্থবছরেই ২৮ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানিতে প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলারের স্থানীয় এক্সেসরিজ ব্যবহার করা হয়েছে। এর বাইরে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের এক্সেসরিজ সরাসরি রপ্তানি হয়েছে। তারা বলছে, এর বাজার দুই দিক থেকেই দ্রম্নত বাড়ছে। সূত্র বলছে, ২০২১ সালে পোশাক রপ্তানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে ১২ বিলিয়ন ডলারের এক্সেসরিজ সহায়তা প্রয়োজন হবে।
যথাযথ পরিকল্পনা ও করপোরেট কর কমিয়ে আনলে এ খাতে যৌথ বিদেশি বিনিয়োগ আনয়ন সম্ভব বলে মনে করেন সংশিস্নষ্টরা।