দেশের তৈরি পোশাক খাতের উত্তর আমেরিকার ক্রেতা জোট অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটির সদস্য আরো ১৩টি পোশাক কারখানা তাদের অগ্নি, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো ত্রুটির সংশোধন কর্মপরিকল্পনা (ক্যাপ) শেষ করেছে। এ ছাড়া সংস্কারকাজ সম্পন্ন করতে পারেনি এমন একটি কারখানার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।
গতকাল অ্যালায়েন্স এক সংবাদ বিজ্ঞপিতে আরো বলা হয়, গত চার বছরের অ্যালায়েন্স সংস্কারকাজ সম্পন্ন করতে পারেনি এমন ১৬৪টি কারখানার সঙ্গে তাদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছে। অ্যালায়েন্সের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন হওয়া এসব কারখানা জোটের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ওয়ালমার্ট, টার্গেট, জেসিপেনি, চিলড্রেন প্যালেস, মেসিসহ ২৯টি ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানের পোশাক তৈরির ক্রয়াদেশ পাবে না। এ ছাড়া সংস্কারকাজ সম্পন্ন করেছে এমন কারখানার সংখ্যা ২৪৭টি। নতুন করে ক্যাপ সম্পন্ন কারখানাগুলো হলো অবনি নিট ওয়্যার, অনন্ত ডেনিম টেকনোলজি, চেকপয়েন্ট সিস্টেম বাংলাদেশ, ক্রিয়েটিভ ওয়াশ, গিবি বাংলাদেশ, ন্যাটকো গ্লোবাল প্যাকেজিং, রিশাল গার্মেন্টস, রওয়া ফ্যাশন, সিলভার কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলস, সিম্বা ফ্যাশন, স্ট্যান্ডার্ড স্টিচেস, তারাসিমা অ্যাপারেলস এবং ইউনসাম ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেড। এ ছাড়া সংস্কারকাজে অগ্রাধিকার প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় পিনারি টেক্সটাইল কারখানার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছে।
গতকাল অ্যালায়েন্সে নির্বাহী পরিচালক সাবেক রাষ্ট্রদূত জিম মরিয়াটি বলেন, সংস্কারকাজে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং কর্মচারীদের জন্য নিরাপদ কর্মস্থল গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য তাদের প্রত্যেকটি কারখানাই প্রশংসার দাবিদার। তিনি আরো বলেন, ‘আমার বিশ্বাস ২০১৮ সালে অ্যালায়েন্স হস্তান্তরের আগেই অধিকাংশ কারখানার সংস্কারকাজ শেষ হয়ে যাবে। বাংলাদেশে আমাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আমাদের টেকসই অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে। ’ ২০১৩ সালের এপ্রিলে রানা প্লাজা ধসের পর ক্রেতাদের দুই জোট অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স গঠিত হয়।