গত দু’দশকে চট্টগ্রামে বন্ধ হয়েছে অন্তত ৩৩২টি তৈরি পোশাক কারখানা। যার ৯০ শতাংশই ক্ষুদ্র আর মাঝারি আকৃতির। উদ্যোক্তারা বলছেন, পুঁজি ঘাটতি, ব্যাংক ঋণের সুদ, পণ্যমূল্য অনাদায়ী থাকাসহ নানা কারণে হারিয়ে যাচ্ছেন ছোট উদ্যোক্তারা। পরিস্থিতি না পাল্টালে বন্ধ হতে পারে আরও তৈরি পোশাক কারখানা। এতে ২০২১ সালে এ খাতের ৫০ বিলিয়ন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ এলাকায় প্রিসিশান নিটিং সিস্টেমস নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানা গড়ে তোলেন ১৯৯৬ সালে। পুঁজি স্বল্পতায় প্রথমে সরাসরি ক্রয় আদেশ, পরে ২০১২ সালে পুরোপুরিই বন্ধ হয়ে যায় তার কারখানা। তবে ততদিনে শুরুর ৩ কোটি ৪ লাখ টাকার ব্যাংক ঋণ পৌঁছে ২১ কোটিতে। অবশেষে ঋণ পরিশোধে ২০১৫ সালে ভবনটি অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে ব্যবসা গুটিয়ে নেন এই তৈরি পোশাক শিল্প উদ্যোক্তা।
গত প্রায় দুই দশকে এমন নানা কারণে ব্যবসায় ইতি টেনেছে চট্টগ্রামের আরও প্রায় সাড়ে ৩শ’ তৈরি পোশাক কারখানা। যার ৯০ শতাংশই ক্ষুদ্র আর মাঝারি। সংশ্লিষ্টদের মতে, খরচের দিক থেকে বড়দের সমকক্ষ হলেও আয়ে পিছিয়ে ছোট আর মাঝারি কারখানা। তাই টিকে থাকার অনিশ্চয়তা ভর করেছে আরও অনেকের মাঝে।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, তৈরি পোশাক খাতে অর্থায়নে সতর্ক থাকতে হয় তাদের। বিদেশ থেকে টাকা উদ্ধারেও রয়েছে সীমাবদ্ধতা। এ খাতের উদ্যোক্তাদের দাবি বিদ্যমান সব সঙ্কট দূর করতে সমন্বিত উদ্যোগ জরুরী। এখনই নজর না দিলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ক্ষুদ্র-মাঝারি আরও কিছু পোশাক তৈরির প্রতিষ্ঠান-এমন আশঙ্কা উদ্যোক্তাদের।